মুম্বই: রাত পোহালেই মহারাষ্ট্র বিধানসভায় (Maharashtra Political Crisis) অগ্নিপরীক্ষা উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray)। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে তাঁকে। বুধবার রাতে আস্থাভোটে সায় দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। নির্ধারিত সময়েই আস্থাভোট করার নির্দেশ। তার আগে সকালেই বিধানসভায় গিয়ে উদ্ধব পদত্যাগ করতে পারেন বলে জল্পনা।


এ দিকে, দুর্নীতি মামলায় এই মুহূর্তে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন এনসিপি-র দুই বিধায়ক অনিল দেশমুখ এবং নবাব মালিক। সরকার টিকিয়ে রাখতে সুপ্রিম কোর্টের স্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা, যাতে আস্থাভোটে ভোটদান করতে পারেন তাঁরা। তাতে সায় দিয়েছে আদালত। সিবিআই এবং ইটি কাল তাঁদের বিধানসভায় নিয়ে যাবে। 


বৃহস্পতিবার আস্থাভোট মহারাষ্ট্র বিধানসভায়


একদিন আগেই বিজেপি-র দেবেন্দ্র ফড়নবীশ উদ্ধব সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির কাছে। তার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন উদ্ধব। কিন্তু বুধবার রাতে শুনানি শেষে আস্থাভোটে স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে আদালত। জানিয়ে দেন, পূর্ব নির্ধারিত সময়েই, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থাভোট হবে। ডেপুটি স্পিকার এবং রাজ্যপালের ক্ষমতা সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে ১১ জুলাই।



আরও পড়ুন: Aurangabad Renamed: শিবাজিপুত্রের নামে নামকরণ অওরঙ্গাবাদের, মারাঠা আবেগ উস্কে সঙ্কট সামাল দেওয়ার চেষ্টা উদ্ধবের!


সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এ দিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন শিবসেনা সাংসদ অনিল দেসাই। তিনি বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট আস্থাভোটের নির্দেশ দিয়েছে। এমনটা আশা করিনি আমরা। কিন্তু আদালতের নির্দেশ মাথা পেতে নিচ্ছি। আমরা স্থগিতাদেশ চেয়েছিলাম।"


আস্থাভোটের আগেই পদত্যাগ করতে পারেন উদ্ধব


সুপ্রিম কোর্টের আগে এ দিন জরুরি বৈঠক করেন উদ্ধব। রাতে তিনি ফেসবুক লাইভ করবেন বলে জানিয়েছে শিবসেনাআস্থাভোটের আগে, মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সেখানেই ইস্তফার ঘোষণা করতে পারেন উদ্ধব, এমনটা শোনা যাচ্ছে। এ দিনের বৈঠকে মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রীদের উদ্ধব পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদও জানান বলেও জানা গিয়েছে। ওই বৈঠকে অওরঙ্গাবাদ, উসমানাবাদ এবং নবী মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবেও সায় দেয় তাঁর সরকার। ছত্রপতি শিবাজির জ্যেষ্ঠপুত্রের নামে অওরঙ্গাবাদের নামকরণ এবং স্থানীয় কৃষক-শ্রমিক আন্দোলনের নেতা ডিবি পাটিলের নামে বিমানবন্দরের নামকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই পদক্ষেপ করে উদ্ধব মারাঠা আবেগ উস্কে দিয়েছেন বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।