কলকাতা : শিশুদের অসুস্থতা প্রসঙ্গে 'অজানা জ্বর' শব্দবন্ধ ব্যবহার করা নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য ও মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, 'এখানে কোনও তথ্য গোপন করতে গেলে একটি ফর্মুলা আছে, অজানা জ্বর বলে দেওয়া। শুরুতেই এই অবস্থা। যদি এই অজানা জ্বর আরও ব্যাপকভাবে বাড়ে, তাহলে চারিদিকে একটি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।'
সেই সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ' যেমন আমরা করোনার বিরুদ্ধে লড়ছি, এক্ষেত্রে শিশুদের এই অজানা জ্বরের জন্য মেডিকেল বোর্ড তৈরি করা অত্যন্ত প্রয়োজন।বিশেষজ্ঞরাই বলুন কী করা যায়, কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। মুখ্যমন্ত্রী মেডিকেল কলেজে শিশুদের দেখতে যাচ্ছেন শুনেছি। কিন্তু দেখতে গিয়ে লাভ নেই! এর জন্য বিশেষজ্ঞদের টিম চাই। '
অন্যদিকে, শিশুদের এই ভয়ঙ্কর জ্বর নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বৃহস্পতিবার প্রথমে একটি ট্যুইট করেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপর ফেসবুকেও একই বক্তব্য পোস্ট করেন। তিনি লেখেন , ' উত্তরবঙ্গে অজানা জ্বর ও ফ্লু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৭৫০ জন শিশু। ইতিমধ্যেই ৬ জন শিশু মারা গেছে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ। ....... পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের বাঁচার অধিকার আছে, অথচ পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। কারন ওখানে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, ওটাই ওনাদের প্রথম অগ্রাধিকার ।'
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যদি খালি কথা ঘোরাতে থাকেন, হেঁয়ালি করেন অথবা অসত্য বলতে থাকেন , তাহলে সেটা মানুষের পক্ষে খুব বিপদজনক। এনিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেও চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা শিশু মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, 'যাঁরা মারা গেছে, প্রত্যেকের অন্য কোনও অসুখ ছিল।'
অন্যদিকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের পাল্টা, 'অলস মস্তিষ্ক শয়তানের ভাষা। ট্যুইট করুক আর যাই করুক।...চিকিৎসকরা তো দেখছে। উত্তরপ্রদেশে গঙ্গায় ডেডবডি ফেলতে হয়েছিল কেন?'