কলকাতা: ঘোষণা মতোই বৃহস্পতিবার সূচনা হল ৪৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ২০২৪ সালের বইমেলার উদ্বোধন করলেন। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, দোলা সেনরাও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, করুণাময়ীর সেন্ট্রাল পার্কই বইমেলার স্থায়ী জায়গা বলে এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। কথোপকথনের মাঝে বইমেলা নিয়ে লেখা নিজের একটি কবিতাও এদিন পাঠ করে শোনান তিনি। (Kolkata International Book Fair 2024)


এদিন বিকেলে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার অনুষ্ঠানিক সূচনা হল। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বইমেলা চলবে। মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই এদিন বইমেলার উদ্বোধন হল। এদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে কিছু বছর আগে লেখা, বইমেলা নিয়ে নিজের একটি কবিতাও পড়ে শোনান তিনি, যা হল-


'ব্যস্ততম বিকেলের, দীর্ঘতম সন্ধ্যায়


জমে উঠেছিল বইমেলা।


বইপ্রেমীদের পবিত্র ছোঁয়ায়


ধূলা মন্দিরের দুর্লভ সন্ধ্যায়,


কত মানুষের কাঙ্খিত আনাগোনায়,


কিছু মুহূর্ত দেখা হল


বইপ্রেমী তোমার ও আমার'।



বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১৯৯৫ সাল থেকে তাঁর বই প্রকাশিত হয়ে আসছ। প্রথম বই ছিল 'উপলব্ধি', যা প্রকাশিত হয়েছিল 'দেশ' থেকে। এখনও পর্যন্ত নয় নয় করে করে তাঁর লেখা ১৩৬টি বই বেরিয়ে গিয়েছে। এবছরের বইমেলা ধরলে বইয়ের সংখ্যা হবে ১৪৩। আগামী বছর সেই সংখ্যাকে ১৫০-এ নিয়ে যাবেন বলেও জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাস্তায় যেতে যেতেও লিখতে ভাল লাগে তাঁর। কিন্তু লেখার জন্য তেমন সময় পান না। তিনি বলতেন, অন্য কেউ যদি লিখে নিতেন, তাহলে আরও বই হতো। বইমেলা নিয়ে লেখা তাঁর কবিতাটি অনেক আগে লেখা বলেও জানান।


আরও পড়ুন: Narayan Debnath Statue Unveiled: ২য় মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, হাওড়ায় বসল নারায়ণ দেবনাথের আবক্ষ মূর্তি


এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, কলকাতার বইমেলা বিশ্বমেলায় পরিণত হয়েছে। এককালে ছোট্ট, একটুকরো জায়গায়, গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বইমেলা হতো। এখন যেখানে মেলা হচ্ছে, অনেক জায়গা রয়েছে। বইমেলা প্রাঙ্গনই কলকাতা বইমেলার স্থায়ী জায়গা বলেও জানান তিনি। বইমেলা কমিটির হাতেই বইমেলার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে, প্রতি বছর কমিটির সঙ্গে তাঁর সরকার বৈঠক করে, সবরকম সাহায্য প্রদাব করে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।


মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ বারের বইমেলায় ২০টি দিন অংশগ্রহণ করছে। সেই তালিকায় রয়েছে আমেরিকা, ফ্রান্স, বাংলাদেশ, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, রাশিয়া, তাইল্যান্ড, পেরু, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, কিউবা, ডমিনিক রিপাবলিকের মতো দেশ। কলকাতা বইমেলাকে বিশ্বসেরা বলে অভিহিত করেন তিনি। জানান, বাংলা চিরকাল পথ দেখিয়ে এসেছে, তার জন্য বই পড়া জরুরি। শত ব্যস্ততার মধ্যেও পড়ার অভ্য়াস রপ্ত করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কিছু মানুষ সারা ক্ষণ নিজেদের প্রচার করে বেড়ান। তিনি মাথা নত করে থাকায় বিশ্বাসী। রবীন্দ্রনাথের কবিতাপাঠ করে অনুষ্ঠান শেষ করেন তিনি।