ঝিলম করঞ্জাই, অনির্বাণ বিশ্বাস এবং শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা: রাজ্যে ফের মারাত্মক হারে বাড়ছে করোনা (Coronavirus)। এরই মধ্যে রাজ্যবাসীর একাংশের মধ্যে বুস্টার ডোজে (Booster Dose) অনীহা দেখা দিচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে দাবি। কেন্দ্রের নিয়ম-বিধির কারণেই অনীহা! এমনই ইঙ্গিত ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim)। দায় নিতে হবে রাজ্যকেই, পাল্টা দাবি বিজেপির (BJP)।
একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত প্রায় ১৫০০। পজিটিভিটি রেট প্রায় ১৫ শতাংশ (১৪.৯৪%)। মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ৩ জনের। রাজ্যে আবার মারাত্মক হারে বাড়ছে করোনা। সংক্রমণে শীর্ষে কলকাতা। স্বাস্থ্য দফতরের শনিবারের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ঘণ্টায় শুধু কলকাতাতেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫০ জন।
এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত ৪২৯জন। রাজ্যে যখন হুহু করে বাড়ছে করোনা, তখন রাজ্যবাসীরই একাংশের মধ্যে বুস্টার ডোজ নিতে অনীহা দেখা দিচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিপুল পরিমাণ বুস্টার ডোজ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ব্যবহার না হলে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন, ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবক, বাড়ি ফেরার পথে মর্মান্তিক মৃত্যু
উত্তর ২৪ পরগনায় ব্যবহার না হওয়ায়, প্রায় ২ লক্ষ ডোজ বাগবাজারের সেন্টারে ফেরত্ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, যে জেলায় কম ভ্যাকসিন রয়েছে, সেখানে তা পাঠিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে স্বাস্থ্য দফতর। এ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার চিন্তাভাবনা করছে স্বাস্থ্য দফতর। শুধু রাজ্য নয়, পুরসভার দাবি, কলকাতাতে দেখা যায় এই অনীহা। বেসরকারি জায়গায় গিয়ে অনেকেই ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী নন বলে দাবি, মেয়রের।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "৬০ এর উর্ধ্বে যারা টিকা নেননি তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেব। সেন্ট্রাল গভমেন্ট বাকিদের টিকা নেওয়ার প্রাইভেট বলেছে এটা আমাদের হাত বাঁধা হয়ে গেছে। এদিকে আমাদের কাছে ভ্যাকসিন পরে আছে। অনেকেই নিতে আসছে কিন্তু আমরা দিতে পারছি না। আমরা কথা বলেছি কেন্দ্রের সঙ্গে। কিন্তু ওরা মানেনি এখনো।"
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "করোনা টিকা শুরু থেকেই আমরা দেখেছি এ রাজ্যের মানুষের অনীহা। এখন কেন অনীহা, তা পুরসভাকেই দেখতে হবে। কেন্দ্রের দিকে দায় ঠেললে হবে না।" কোভিড রুখতে ফের সচেতনতা প্রচার শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। ফের মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার নিয়ে চলবে সতর্ক করা হবে শরহবাসীকে।
এদিকে, সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ দেয়, উপসর্গহীন কোভিড রোগীদের, করোনা ছাড়া অন্য কোনও কারণে হাসপাতালে ভর্তি করতে হলে, করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।