কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পর বহিষ্কার করেছে দল।  বিদ্যুৎ দফতরের চাকরি থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। যে দিন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Santanu Banerjee) কে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED), সেই দিনই বিদ্যুৎ দফতর শান্তনুকে সাসপেন্ড করে বলে জানা গিয়েছে। 


হুগলি জেলায় তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের কর্মাধ্য়ক্ষ ছিলেন শান্তনু


একটি ছাত্র নির্বাচনের সূত্রে যুব তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে এসেছিলেন শান্তনু। সেখান থেকেই তাঁর উত্থান শুরু হয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে হুগলি জেলায় তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের কর্মাধ্য়ক্ষ হয়েছিলেন। কিন্তু এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন শান্তনু। 


শান্তনুর বাবা বিদ্য়ুৎ বণ্টন নিগমের কর্মী ছিলেন। শান্তনুদের একটি মোবাইল ফোন সারাইয়ের দোকানও ছিল।সেই সঙ্গে তাঁরা গাড়ি ভাড়া খাটাতেন। চাকরি করতে করতেই শান্তনুর বাবার মৃত্য়ু হয়। তাতে সেই চাকরি পান শান্তনু। ২০০৭ সালে তাঁকে বলাগড় ব্লকের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি করা হয়।


আরও পড়ুন: West Bengal Landbank: রাজ্যের শিল্পের জন্য ৮ হাজার একর জমি চিহ্নিত, অনুমোদন পেলেই বিজ্ঞপ্তি


নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই শান্তনুর নতুন নতুন সম্পত্তির কথা সামনে আসছে, যার মূল্য কোটি কোটি টাকা। বাংলো, বাড়ি, ফ্ল্য়াট, ধাবা, কী নেই সেই তালিকায়! তৃণমূল নেতার এলাকারই এক রেস্তরাঁ মালিকের অভিযোগ, তাঁর ব্য়বসা যাতে না চলে, সেF জন্য় স্বাস্থ্য় দফতরের লোকজনকে দিয়ে অভিযান চালাতেন শান্তনু।


নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধরা পড়ে, কুন্তল ঘোষের দিকে আঙুল তুলছেন শান্তনু। অন্যদিকে তাঁরও একের পর এক কীর্তি সামনে আসছে। সবমিলিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে টাকার অঙ্ক কয়েকশো কোটি টাকা বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, ইডি জানতে পেরেছে, হাওড়া ও চন্দননগরে প্রোমোটিংয়ের কারবারে জড়িত শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা। সেখানে তৈরি হচ্ছে মার্কেট কমপ্লেক্স, আবাসন। স্থানীয় সূত্রে দাবি, সেখানেও পরোক্ষভাবে বিনিয়োগ করেছেন, বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা। ওই সমস্ত প্রোমোটিং কারবার সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করেছে ED.


গ্রেফতারির চার দিন পর, শান্তনুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে তৃণমূল


এর আগে, গ্রেফতারির চার দিন পর, শান্তনুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে তৃণমূল। দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। সাংবাদিক বৈঠক করে শান্তনুকে বহিষ্কারের কথা জানান শশী পাঁজা এবং ব্রাত্য। তাঁরা জানান, তৃণমূল দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপসের পক্ষপাতী নয়। তাই বহিষ্কার করা হল শান্তনুকে। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতা কুন্তল ঘোষকেও বহিষ্কার করেছে তৃণমূল।