কলকাতা: পাঁচ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন। তারপরেই শুরু কষ্টের জীবন। পরিবার চালাতে গৃহ পরিচারিকার কাজ নিয়েছিলেন মা। তার জন্য শিশু বয়সে ভাই-বোনের সঙ্গে অনাথালয়ে জায়গা হয়েছিল তাঁর। কিন্তু হেরে যায়নি। পড়াশোনা শেষ করে অদম্য লড়াই। শেষ পর্যন্ত IAS অফিসার। এই লড়াকু ব্যক্তির নাম বি আবদুল নাসার (B Abdul Nasar)। 


কেরলে একটি অনাথালয়ে তাঁর বড় হয়ে ওঠা। সেখানেই পড়াশোনা। DNA-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী দশ বছর বয়সে হোটেলের এক কর্মী হিসেবে জীবন শুরু করেছিলেন। বেশ কয়েকবার অনাথাশ্রম ছেড়ে পালিয়েছিলেন। পরে আবার ফিরে আসেন। এভাবেই পড়াশোনা করে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করেন। তারপর দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেই কেরলের একটি কলেজ থেকে স্নাতক হন। এই সময়ে খরচ চালানোর জন্য খবরের কাগজ বিলির কাজও করেছেন আবদুল নাসার। কখনও ফোন অপারেটরের কাজ করেছেন, কখনও আবার ছাত্র পড়িয়েছেন।                                             


DNA-এর একটি রিপোর্ট অনুয়ায়ী, এভাবেই লড়তে লড়তে ১৯৯৪ সালে কেরলের স্বাস্থ্য় দফতরে কাজ পান তিনি। সেখান থেকে ক্রমশ উঠতে উঠতে ২০০৬ সালে। ২০১৫ সালে নাসার কেরলের শ্রেষ্ঠ ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে সম্মান 
পান তিনি।                                                 


 


২০১৭ সালে বি আবদুল নাসার প্রোমোশন পান IAS স্তরে। কেরল সরকারের হাউজিং কমিশনারের দায়িত্ব সামলেছেন। পরে ২০১৯ সালে কোল্লামের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর হন তিনি।                               


UPSC দেননি তিনি। কঠোর পরিশ্রম করে ধাপে ধাপে কাজ করে IAS স্তরে প্রোমোশন পেয়েছেন। লক্ষ্য স্থির থাকলে এবং দাঁতে দাঁত চেপে লড়লে কোথা থেকে কোথায় ওঠা যায় তার জলজ্যান্ত উদাহরণ বি আবদুল নাসার   


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: West Bengal BJP President: দিলীপের প্রত্যাবর্তন, নাকি সুকান্তর জায়গায় শুভেন্দু? রাজ্য BJP-তে জোর তরজা


 


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI