কলকাতা: যাদবপুরে (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুর পর টনক নড়ল রাজ্যের? র‍্যাগিং রোধে কী কী পদক্ষেপ তা নিয়ে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। আর রাজ্য সরকারের নতুন বিজ্ঞপ্তি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। 


নতুন বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক: আগের গাইডলাইনের ওপর ভিত্তি করে র‍্যাগিং রুখতে নতুন সার্কুলার রাজ্যের। রাঘবন কমিটির সুপারিশ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ইউজিসি-র গাইডলাইন মনে করানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্য ও জেলাস্তরে অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি তৈরি করতে হবে। জেলাশাসক এবং কলকাতার ক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশিকা মানতে হবে। ছাত্র ও অভিভাবকদের তোলা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। অ্যান্টি র‍্যাগিং হেল্পলাইন চালু করতে হবে। 


যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্য়ুর দায় কার? এই একটা প্রশ্ন ঘিরেই এখনও তোলপাড় চলছে। তার মধ্য়ে র‍্যাগিং রুখতে রাজ্য সরকারের সার্কুলার, ফের একগুচ্ছ প্রশ্ন উস্কে দিল।২০০৭ সালে রাঘবন কমিটির সুপারিশ, ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং UGC-র একগুচ্ছ গাইডলাইন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিং-রোগ সারাতে প্রায় দেড় দশক আগেই তৈরি হয়েছিল ওষুধ। কিন্তু, দেশের অন্য়তম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুরে যে সেই ওষুধ প্রয়োগই হয়নি, তা কার্যত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে পড়ুয়া মৃত্য়ুর মর্মান্তিক ঘটনা।


তারও পাঁচদিন পর,পুরনো সেই গাইডলাইনের ভিত্তিতেই, র‍্যাগিং রুখতে নতুন সার্কুলার জারি করেছে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন দফতর ও রাজভবনকে পাঠানো সেই নির্দেশিকায় মূলত রাঘবন কমিটির সুপারিশ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ও UGC-র গাইডলাইনগুলিই মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম, অ্যান্টি র‍্যাগিং হেল্পলাইন ও অ্যান্টি র‍্যাগিং স্কোয়াড চালু, হস্টেলে সর্বক্ষণের জন্য ওয়ার্ডেন নিয়োগ রাজ্য এবং জেলাস্তরে অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি তৈরির উল্লেখ রয়েছে।জেলাশাসক এবং কলকাতার ক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনারকে এই নির্দেশিকা মানতে হবে। ছাত্র ও অভিভাবকদের তোলা অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতে হবে ওই কমিটিকে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এসব নির্দেশিকা মেনে চলছে কিনা, সেটা এতদিন দেখা হয়নি কেন? যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্দেশিকা মানেনি, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া হয়নি কেন?এখন সার্কুলার দিয়ে দেড় দশক আগের নির্দেশিকা মনে করানো হচ্ছে কেন? এটা কি যাদবপুরকাণ্ডের পর ড্য়ামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা? বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, "আমি চেষ্টা করেছিলাম UGC- র গাইডলাইন মানার। কিন্তু ঘৃণ্য রাজনীতি ও রাজ্য সরকার অবাঞ্চিত হস্তক্ষেপ তা হতে দেয়নি। আমাকে সরানোর পর তো, কিছুই মেনটেইন হয়নি।''


আরও পড়ুন: Jadavpur University: ছাত্র মৃত্যুর পরেও ফেরেনি হুঁশ! ফের পাঁচিল টপকে যাদবপুরে বহিরাগত