সন্দীপ সরকার, কলকাতা: একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনার (Awas Yojana) টাকা নিয়ে কেন্দ্র (Center)-রাজ্য (West Bengal) টানাপোড়েনের পর এবার স্বাস্থ্য খাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে নতুন বিতর্ক। চলতি অর্থবর্ষে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির জন্য রাজ্যে বরাদ্দ আটকে রাখার অভিযোগ উঠল। প্রাপ্য প্রায় আটশো কোটি টাকা চেয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের সচিব এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
১০০ দিনের টাকা, আবাস যোজনার পর এবার স্বাস্থ্য খাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আটকে দেওয়ার অভিযোগ। রাজ্যের প্রাপ্য ৮০০ কোটি টাকা চেয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশনের সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবের। রাজ্যে ৪৭৪টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৬৫টি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ২৮টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির জন্য একাধিক কিস্তিতে টাকা দেওয়ার কথা কেন্দ্রের।
যদিও অভিযোগ উঠেছে যে, চলতি অর্থবর্ষে প্রাপ্য বকেয়া এখনও পাঠায়নি কেন্দ্র। কিন্তু কেন মেলেনি কেন্দ্রীয় বরাদ্দ? বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রকল্পের নাম এবং সুস্বাস্থ্য ভবনের রং, খবর স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে। কেন্দ্রের শর্তাবলীতে বলা হয়েছে, প্রকল্পের নাম হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার, এমনটাই খবর সূত্রের। ভবনের বাইরে লিখতে হবে, আয়ুষ্মান মন্দির, রাজ্যে এই প্রকল্প হয়ে গিয়েছে সুস্বাস্থ্য প্রকল্প, খবর সূত্রের।
আরও পড়ুন, অর্থাভাব থেকেই যাচ্ছে জীবনে? এই পদ্ধতিতে হনুমানজিকে স্মরণ করলে মিটতে পারে সমস্যা
কেন্দ্রের শর্তাবলীতে উল্লেখ করা হয়েছিল, ভবনের রং হতে হবে মেটাল ইয়েলো, থাকতে হবে খয়েরি রঙের বর্ডার। রাজ্যের সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে রাঙানো হয়েছে নীল-সাদা রঙে, আর এই নিয়েই বেধেছে গোল, খবর সূত্রের।
পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় রাজ্যে ৪৭৪টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ৬৫টি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ২৮টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির কাজ চলছে। নবান্ন সূত্রে দাবি, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই খাতে ৮২৮ কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, এখনও অবধি ৭২৪ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পাওয়ার কথা ছিল ৮২৬ কোটি টাকা। অথচ মোদি সরকার দিয়েছে মাত্র ৪৮৬ কোটি টাকা।
রাজ্য সরকার সূত্রে দাবি, ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট ৬ মাস আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট না দিয়েও অনেক রাজ্যই টাকা পেয়ে গেছে। তবে চলতি অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত এই খাতে বাংলাকে কোনও টাকাই দেয়নি কেন্দ্র।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে