ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের পর এবার কালো তালিকাভুক্ত মুম্বইয়ের ১টি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। জেন ফার্মা প্রাইভেট লিমিটেড নামক সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। নিয়মিত যে ওষুধ সরবরাহ করার কথা ছিল এই সংস্থার, গত ১ বছর ধরে তা সরবরাহ করতে না পারার অভিযোগ উঠেছে। ওষুধ সরবরাহ না করতে পারার অভিযোগে সংস্থাকে শোকজ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। পরে এই সংস্থার আধিকারিকদের স্বাস্থ্য দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে আগামী ৩ বছরের জন্য মুম্বইয়ের সংস্থা জেন ফার্মা প্রাইভেট লিমিটেডের থেকে কোনও রকম ওষুধপত্রের সরবরাহ নেবে না রাজ্য। ওষুধ প্রস্তুতকারী এই কোম্পানি বাংলাকে ওষুধ সরবরাহের তালিকায় এনলিস্টেড ছিল, অর্থাৎ তাদের নাম ছিল। কিন্তু গতকাল অর্থাৎ ২৯ জানুয়ারি রাজ্য স্বাদথ্য দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে যে আগামী দিনে ইন্টার মেডিক্যাল স্টোরের কোনও টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে পারবে না এই কোম্পানি। তিন বছরের জন্য মুম্বইয়ের এই ওষুধ নির্মাণকারী সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।
যে অর্থবর্ষ বর্তমানে চলছে সেই এক বছর ধরে যে ওষুধ মুম্বইয়ের এই সংস্থার রাজ্যকে সরবরাহ করার কথা ছিল, তা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি কোম্পানিকে শোকজ করলেও তাদের তরফে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এই কোম্পানির তরফে কাউকে ডেকে পাঠানো হলে সেখানেও কেউ আসেনি। এমনই সব গুরুতর অভিযোগ উঠেছে মুম্বইয়ের জেন ফার্মা প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে। আর এইসব অভিযোগ খতিয়ে দেখে তারপর মুম্বইয়ের এই সংস্থাকে ব্ল্যাকলিস্টেড করেছে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর।
বারুইপুরের একটি ওষুধ নির্মাণকারী সংস্থাকেও উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল
জানা গিয়েছে, বারুইপুরের সংস্থা ফার্মা ইমপেক্স ল্যাবরেটরিজ প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল স্টেট ও সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছে। এইসব অভিযোগের ভিত্তিতেই ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি, তিনদিন ধরে এই সংস্থার বারুইপুরের কারখানায় ইনসপেকশন চালায় সেট ও সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল, যার নাম দেওয়া হয় রিস্ক ফ্যাক্টর অ্যাসেসমেন্ট। এই অভিযানের ভিত্তিতে দেখা যায় ওষুধ তৈরির বিভিন্ন কারখানার যে গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস থাকে তার নিরিখে ২ জায়গায় ফেল করেছে বারুইপুরের এই ওষুধ নির্মাণকারী সংস্থা। গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাকটিসের শিডিউল এল১ এবং শিডিউল এম- এই দুই পর্যায়ে ওষুধ নির্মাণের ক্ষেত্রে পাশ করতে পারেনি বারুইপুরের সংস্থা। তার জেরেই ২৯ জানুয়ারি নোটিস পাঠানো হয়। সেখানে স্টেট এবং সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সংস্থার নির্মাণ করা ওষুধের গুণগত মান সঠিক নয়। এমনটাই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- আর জি কর থেকে 'বদলি' সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী'র, কোথায় পাঠানো হল?