ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, হুগলি : নিম্নচাপের জেরে প্রবল বৃষ্টি ও বিভিন্ন ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলে ডুবে গিয়েছে হুগলির একাধিক এলাকা। মাঝে কয়েকদিন আবহাওয়ার উন্নতি ও জল ছাড়া বন্ধ হলেও খানাকুল (Khanakul) সহ একাধিক জায়গার পরিস্থিতি এখনও বদলায়নি। সেখানে গত এক সপ্তাহ ধরে নৌকায় চড়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ফি বছর বন্যার ভোগান্তিতে জীবনযাত্রার স্বাভাবিক ছন্দে ব্যাঘাত থেকে ফসল নষ্ট, আর্থিক ক্ষতির মুখেও পড়তে হয় তাঁদের। তার মাঝেই এবারে স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ প্রশাসনের তরফে পাওয়া ত্রাণ নিয়ে টালবাহানারও।
সোমবার খানাকুলের একাধিক এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সেখানে গিয়েছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ককে সামনে পেয়ে তাঁদের ক্ষোভ ও ফি বছরের বন্যা যন্ত্রণা নিয়ে অভিযোগ শোনান স্থানীয়রা। পাশাপাশি অনেককে ত্রিপল, শুকনো খাওয়ার সহ ত্রাণ সামগ্রীও বিতরণ করেন তিনি। কয়েকজন নৌকা করে এলাকা পেরনোর সময় তাঁদেরকে আর্থিক সাহায্যও করেন তিনি। গত এক সপ্তাহ ধরে নৌকা করে যাতায়াত করার যন্ত্রণার কথা তাঁর কাছে অভিযোগের সুরে বলেন স্থানীয়রা। ফি বছরের এই বন্যা যন্ত্রণা থেকে যাতে নিস্তার মেলে, তার জন্য স্থানীয়দের আশ্বাসও দেন তিনি।
ঘর-বাড়ি থেকে চাষের জমি, সবই আপাতত জলের তলায়। খানাকুলে বিঘার পর বিঘা জমিতে রোয়া ধানজমিও জলের তলায় থাকায় কৃষিপ্রধান হুগলিতে ব্যাপক ফসল নষ্টেরও আশঙ্কা করছেন চাষিরা। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ, ফসলের জন্য বিমা করা থাকলেও আগেও বন্যা পরিস্থিতির পর তাঁরা সেজন্য বিমার অর্থ পাননি।
কিছুদিন আগেই খানাকুলে বন্যার জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। 'খানাকুল (Khanakul), পুড়শুড়া- সোনামুখী (Sonamukhi)-ইন্দাসের একটা অংশ-সহ নিম্ন দামোদর অববাহিকার সমস্যার সমাধান করতে চায় না তৃণমূল (TMC)', বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আক্রমণ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ২০১৯ সালে উদয়নারায়ণপুরে বিশ্বব্যাঙ্কেরচার হাজার কোটি টাকার কাজ শুরু করেছিলেন শুভেন্দু। কোভিডের পর সেই কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি (West Bengal Flood Situation)।
আরও পড়ুন- 'বাড়িতে থাকতে চান, না অন্য কোথাও পাঠাব?' হুঁশিয়ারি বিচারপতির
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন