সন্দীপ সরকার, কলকাতা : স্বাস্থ্য সাথী পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্প। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এখন বহু মানুষের ভরসা এই স্কিম। এবার সেই  স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার।  রাজ্য সরকারের কাছে খবর, বেশ কিছু অসাধু হাসপাতাল , স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প থেকে টাকা আত্মসাৎ করছে। এবার সেই অসাধু নার্সিংহোমে চুরি ঠেকাতে একগুচ্ছ নতুন নিয়ম জারি করল রাজ্য সরকার।


এবার স্বাস্থ্যসাথী ব্যবহার করে যাঁরা চিকিৎসা নেবেন, হাসপাতালকে একটি নির্দিষ্ট app এর সাহায্যে সেই রোগীর ছবি ও ভিডিও তুলে পাঠাতে হবে স্বাস্থ্য ভবনে।  হাসপাতালে ভর্তি, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওটির আগে ওপরে, ছুটির সময়ের ছবি পাঠাতে হবে।  স্বাস্থ্য সাথীতে রোগী ভর্তি হলেই, সেই তথ্য ছবিসহ পাঠাতে হবে সরকারকে। অর্থাৎ প্রতিটি ধাপে রোগী  হাসপাতালে আছেন কিনা নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট সার্ভারে পাঠাতে হবে রোগীর জিপিএস লোকেশন। আসলে এই কার্ডকে কোনও কোনও হাসপাতাল অসাধুভাবে ব্যবহার করছিল বলে খবর ছিল রাজ্যের কাছে তাই পদক্ষেপ। 


কোনওরকম জালিয়াতি এড়াতে, রোগীর  ছবি, ভিডিও,  জিপিএস লোকেশন একবার পাঠানো হয়ে গেলে তা এডিট করা যাবে না। এসব কিছুই করতে হবে হাসপাতালকে। একই নিয়ম মেনে চলতে হবে রোগী স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ডায়ালিসিস, কেমোথেরাপি ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করালেও। পুরো প্রযুক্তি সম্পর্কে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হবে। রোগী ভর্তি হলেই ফোনের জিপিএস অন করে দিতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হওয়া মাত্র, নির্দিষ্ট app start করতে হবে। আবার পরীক্ষা শেষ হলে সঙ্গে সঙ্গে, জিপিএস অন করে app off করতে হবে।


যে অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে হবে, তা হাসপাতালের ৫০ মিটার ব্যাসার্ধের বাইরে কাজ করবে না। অর্থাৎ রোগী যে হাসপাতালেই আছেন, সেটা নিশ্চিত করবে জিপিএস লোকেশন।   সার্ভারে আপলোড করা ছবি ভিডিও জাল কিনা, তা পরীক্ষা করবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI । রোগীর ছবি না থাকলে বা ভুয়ো তথ্য আপলোড করলে স্বাস্থ্য সাথীর টাকা মেটাবে না সরকার। সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা। সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমকে মোটা টাকা জরিমানাও করা হবে। 


আরও পড়ুন :            


অভীক দে-কে কাউন্সিলে ফেরানো নিয়ে পথে বসলেন চিকিৎসকরা, ফের প্রশ্ন তুললেন ডা. দেবাশিস হালদার