ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : বিরল রোগ (Critical Dieseas) নির্মূল করতে জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য (Sucessful Operation)। নতুন দিশা দেখালেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Calcutta Medical College) মেডিসিন ও নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা। প্রাণ সংশয় হয়েছিল যাঁর, সেই রোগিণীও সন্তানকে নিয়ে ফিরেছেন ব্যারাকপুরের বাড়িতে। হাসি ফিরেছে গোটা পরিবারের মুখে।


জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য


আন্তর্জাতিক নারী দিবসে (International Women's Day) এক যুদ্ধজয়ের কাহিনি। যুদ্ধটা কঠিন রোগের সঙ্গে। বেশ কয়েকমাসের লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত জয় এসেছে। যার শরিক কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগ ও নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরাও (Doctors of Medicine and Neuro Surgery Department)। ব্যারাকপুরের বাসিন্দা ২৭ বছরের রাজিনা বেগম। সদ্য মা হয়েছেন। বাড়িতে আনন্দের আবহ। কিন্তু বেশ কয়েক মাস ধরে তাঁকে নিয়ে কার্যত যমে-মানুষে টানাটানি পড়েছিল।


ঠিক কী সমস্যা হয়েছিল ?


চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগেই বিরল এক রোগ, অ্যাপ্লা সিনড্রোমে আক্রান্ত হন রাজিনা। এর ফলে রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছিল। পাশাপাশি সিস্টেমিক লুপাস এরিথিমেটোসাস রোগে ক্ষতি হচ্ছিল কিডনির। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মে়ডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের নজরদারিতে দু'বছর রাজিনার চিকিৎসা চলে। শেষপর্যন্ত জটিলতা কাটিয়ে উঠে সন্তানের জন্ম দেন তিনি।


বাড়ি ফিরে ফের রোগাক্রান্ত হন রাজিনা ! এবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ! পরিবার সূত্রের খবর, রাজিনাকে ফের ভর্তি করা হয় কলকাতা মে়ডিক্যাল কলেজে । মেডিসিন বিভাগে পরীক্ষার পরে দেখা যায় রোগিণীর মস্তিষ্কে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়ে রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। এরপর দায়িত্ব নেন কলকাতা মেডিক্যালের নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা। ক্রেনিওক্টমি পদ্ধতির মাধ্যমে রোগিণীর মাথার খুলির অংশ কেটে, পেটের কাছে অস্ত্রোপচার করে ত্বকের নীচের অংশে তা ঢুকিয়ে রাখা হয়। এরপর ওষুধের সাহায্যে দূর করা হয় রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা। পরের ধাপে খুলে রাখা খুলির অংশ আগের জায়গায় বসানো হয়।


জটিল রোগের সুচিকিৎসায় কার্যত নতুন জীবন পেয়েছেন রাজিনা। এবার তাঁকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। গত বছরের মাঝামাঝি কলকাতার CMRI হাসপাতালে (CMRI Hospital) বিরল অস্ত্রোপচার (Critical Surgery) হয়। ৪ দিনের সদ্যোজাতের শরীরে থাকা দু'টি পাকস্থলীর একটি বাদ দেন চিকিত্‍সকরা। খাওয়ানোর পরই অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যাচ্ছিল সদ্যোজাতের পেট! এক্স-রে এবং সিটি স্ক্যান করে দেখা যায়, একটি নয়, শরীরে দু'টি পাকস্থলী রয়েছে শিশুর। শেষে জটিল অস্ত্রোপচারে আসে সাফল্য। 


আরও পড়ুন- জরায়ু নয়! মায়ের শরীরে অন্যত্র বাড়ছিল শিশু! জন্ম দিয়ে 'অসাধ্যসাধন' ন্যাশনাল মেডিক্যালের