উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে বিধানসভায় (WB Assembly) নজিরবিহীন নিরাপত্তা। সূত্রের খবর, সংসদে স্মোক-ক্যানকাণ্ডের পর, বিধানসভার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রত্যেকটি গাড়ি করা হবে স্ক্যান। বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তাও। 


কী ঘটেছিল সংসদে? 


গত বছর ১৩ ডিসেম্বর নতুন সংসদে ঘটে গিয়েছে নজিরবিহীন ঘটনা। লোকসভা চলাকালীন ঢুকে আচমকাই হানা দেয় দুই যুবক। সভার মাঝেই ‘রং স্প্রে’ করেন এবং স্লোগান দিতে শুরু করেন ২ যুবক। প্রায় ১২০০ কোটি টাকায় তৈরি নতুন ভারতের নতুন সংসদে ঘটনার সময় বক্তব্য রাখছিলেন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। হঠাৎ পিছনের গ্যালারির দর্শকাসন থেকে ঝাঁপ দেন ২ যুবক। থতমত খেয়ে বক্তব্য থামিয়ে দিলেন খগেন মুর্মু। উঠে দাঁড়িয়ে পড়লেন আশপাশের সব সাংসদরা। স্পিকারের আসনে তখন বসে রাজেন্দ্র আগরওয়াল। ঘটনার আকষ্মিকতায় থমকে গিয়েও তড়িঘড়ি সংসদের অধিবেশন স্থগিত করে দেন তিনি। ততক্ষণে লোকসভার ভিতরে একের পর এক বেঞ্চ টপকে এগিয়ে চলেছে ২ যুবক। দৌড়ে এসে তাঁদের ধরার চেষ্টা করুন সাংসদরাই। এরইমধ্য়ে সংসদের ভিতরে হলুদ রঙের স্প্রে করে দেন ২ যুবক। তাঁদেরকে ধরে ফেলেন সাংসদরাই। লোকসভার ভিতরেই দুই যুবককে লাথি, ঘুষি, চড়, বেধড়ক মারতে শুরু করেন জনপ্রতিনিধিরা।


এই ঘটনার প্রায় দুমাসের মাথায় রাজ্য বিবিধানসভায় শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন। তার আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিধানসভার মেন গেটে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক স্ক্যান বুমার। প্রত্যেক বিধায়ক ও মন্ত্রীদের গাড়িতে থাকবে চিপ। বিধানসভায় ঢোকার আগে সমস্ত গাড়ি স্ক্যান করা হবে। পাশাপাশি, বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। বিধানসভা চত্বর পুলিশে ছয়লাপ।


গত বছর বাজেট পেশের সময় বিধানসভায় বহিরাগত প্রবেশের ঘটনা ঘটেছিল। দুটো গেট টপকে এক ব্যক্তি ঢুকে যান বিধানসভার ভেতরে। নিজেকে গজেন্দ্র কুমার সিংহ বলে পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি দাবি করেছিলেন, রাজ্যপাল তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পাঠিয়েছেন। যদিও তাঁর কাছে এসংক্রান্ত কোনও কাগজ পাওয়া যায়নি। ওই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বিধানসভার মার্শালরা। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Narendrapur School Chaos: প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা যায়নি কেন? নরেন্দ্রপুরের ঘটনায় প্রশ্ন হাইকোর্টের