কলকাতা: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস গ্রহণ করলেন বিধানসভার (Assembly) অধ্যক্ষ। গতকাল বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী অভিযোগ করেন তাঁকে আয়কর হানার হুমকি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কৃষ্ণ কল্যাণী ছাড়াও বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস দেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায় ও বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস গ্রহণ করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। এরপর অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বিধানসভার প্রিভিলেজ কমিটি।
বুধবার শুভেন্দু অধিকারী যখন বক্তব্য রাখছিলেন, তখন তাঁর বিরোধিতায় সরব হন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় এবং বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। যাঁরা প্রত্যেকে বিজেপির প্রতীকে গত বিধানসভা ভোটে জিতলেও, পরে তৃণমূলের পতাকা হাতে নেন।এরপর মুখ্যমন্ত্রীর জবাবি ভাষণ দেওয়ার সময়, শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। সেই সময় শুভেন্দু অধিকারীকে ও কৃষ্ণ কল্যাণীর মধ্যে কার্যত বচসা বেধে যায়। এরপরই রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিযোগ করেন, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে, শুভেন্দু অধিকারী, বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে আয়কর হানার হুমকি দিয়েছেন।
বিধানসভায় কৃষ্ণ কল্যাণীর এই অভিযোগ শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এটা খুবই গুরুতর অভিযোগ। বিধানসভায় যে কোনও বিধায়ক, তাঁর বক্তব্য জানাতে পারেন। সেজন্য তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতর কারা চালায়।'' এরপর স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দেওয়া হবে।'' এরপরই এদিন স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস গ্রহণ করলেন স্পিকার। যদিও গতকাল শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, “বললেই প্রিভিলেজ নোটিস আনা যায় না। তার আগে প্রমাণ করতে হবে, যে আমি এগুলো বলেছি।’’ অন্যদিকে বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে, নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রোটেকশন পেয়েছি। সাহস থাকলে ছুঁয়ে দেখান।’’