কলকাতা: বিজেপিকে (BJP) তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ভয় পেয়েছে বলে বুধবার বিকেলে হাজরার (Hazra) সভা থেকে দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (West Bengal Lop Suvendu Adhikari)। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসককে (RG Kar Doctor Death) ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিজেপি যেভাবে আন্দোলন সংগঠিত করেছে তা দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতৃত্ব আতঙ্কিত বলেও দাবি করেন তিনি। আজ বিজেপির তরফে কালীঘাট চলো কর্মসূচির যে ডাক দেওয়া হয়েছিল সেই সভা থেকেই এই মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা।
হাজরার সভা থেকে ঘাসফুল শিবিরকে তীব্র আক্রমণ করে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু বলেন, "দফা এক, দাবি এক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ। এই দাবিকে সামনে রেখে আমাদের আন্দোলন। যাতে তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়েছে বলেই তারা জানে ভারতীয় জনতা পার্টিকে আটকাতে হবে। কারণ, ভারতীয় জনতা পার্টি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। মগরাহাটের প্রার্থী মানস শ সহ আমাদের ৫৭ জন কর্মী আত্মবলিদান দিয়েছেন। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের ৩৭ জন কর্মী আত্মবলিদান দিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের পরে আমাদের পাঁচজন কর্মী আত্মবলিদান দিয়েছেন। ভারতীয় জনতা পার্টি হাজারে হাজারে কর্মী ঘরছাড়া হয়েছেন। রাজ্যের বাইরে তাঁদের গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে। ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেতা প্রার্থীদের বিহারে, অসমে, ঝাড়খণ্ডে ও ওড়িশায় গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে। তারপরও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি ও সাংসদ জগন্নাথ সরকার, রাজ্য সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায় ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী সামনে থেকে দাঁড়িয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তা দেখে চমকে গেছে তৃণমূল। বিজেপিকে ওরা ভয় পেয়েছে বলেই লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে। কিন্তু, আমরা সমস্ত আক্রমণের মোকাবিলা করে লড়াই চালিয়ে যাব।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Polba Murder: বাড়ি নিয়ে বিবাদের জের, দেওরের হাতে খুন বৌদি