করুণাময় সিংহ, মালদা: দিদির সুরক্ষাকবচের কর্মসূচিতে গিয়ে বারবার বিক্ষোভের মুখে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এবার মালদায় দেখা গেল অন্য রকমের বিক্ষোভ। নেতা-মন্ত্রীদের ঢুকতে বারণ করে দেওয়াল লিখন করলেন গ্রামবাসীরা। 


কী লেখা দেওয়ালে:
মালদার মঙ্গলবাড়ির পাশিপাড়া গ্রামে দেওয়ালে গ্রামবাসীরা লিখেছেন, 'বেহাল রাস্তা, বারবার বলেও কোনও লাভ হয়নি। চাই না, শুধু ভোটের জন্য নেতা-মন্ত্রীরা গ্রামে ঢুকুন।' কোথাও লেখা, দিদির দূত ও নেতা-মন্ত্রীর এই পাড়ায় ঢোকা নিষেধ। যদিও গোটা ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। শাসক দলের দাবি, বিজেপির ষড়যন্ত্রের কারণেই এমনটা হয়েছে। পাল্টা বিজেপির দাবি, দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের কেন ঢুকতে দেবেন গ্রামবাসীরা?


দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে, দিদির দূত হয়ে যাওয়া, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের ঘিরে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ অব্যাহত। সাংসদ থেকে বিধায়ক, বাদ যাচ্ছেন না রাজ্যের মন্ত্রীও। এই পরিস্থিতিতে, মালদার মঙ্গলবাড়ির পাশিপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা দেওয়ালে লিখলেন, নেতা-মন্ত্রীদের এই পাড়ায় ঢোকা নিষেধ। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় রাস্তা বেহাল। পরিশ্রুত জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। বারবার বলেও সমস্য়ার কোনও সুরাহা হয়নি। গ্রামবাসীদের সাফ কথা, শুধু ভোটের জন্য নেতা-মন্ত্রীরা আসুন, এটা তাঁরা চান না।


বারবার বিক্ষোভ:
তৃণমূল সাংসদ মৌসম বেনজির নুর থেকে রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় ক্ষোভের মুখে পড়েছেন। মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেন থেকে চাঁচলের তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষও বিক্ষোভের সামনে পড়েছে। গত কয়েকদিনে, মালদা জেলাতেই বারবার ক্ষোভের মুখে পড়েছেন দিদির দূতেরা। এই পরিস্থিতিতে, এবার বাসিন্দাদের এহেন দেওয়াল লিখন ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। গত পঞ্চায়েত ভোটে এই গ্রাম ছিল তৃণমূলের দখলে। সেখানেই এমন বিক্ষোভের ছবি।


বিজেপির কটাক্ষ:
দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, 'তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা এত দুর্নীতি করেছেন, যে গ্রামবাসীরা ঢুকতে দিচ্ছেন না।'


জেলার আরও বিক্ষোভ:
দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে ফের বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল নেতা। মালদার বিনোদপুর পঞ্চায়েত এলাকায় কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন জেলা পরিষদের সভাধিপতি। স্থানীয় পঞ্চায়েতে একাধিক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের শান্ত করতে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, একাধিক সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তাঁরা পাননি। আবাস যোজনার সুবিধা পাননি বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। মালদার বিনোদপুরের বাসিন্দা মহম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, 'আবাসে বাড়ি পাইনি, তাই ক্ষোভ দেখাচ্ছি।'  


আরও পড়ুন: খাকি প্যান্ট-মাথায় টুপি, অন্য রূপে শুভেন্দু