কলকাতা: ডিএ (DA) আন্দোলনকারীদের কড়া বার্তা ফিরহাদের (Firhad Hakim)। 'যাঁরা অনেক পান, তাঁদের বেশি পাইয়ে দেওয়াটা আমার কাছে পাপ। আমি বলেছি, না পোষায় ছেড়ে দিন না। কেন্দ্রের সরকার যখন অনেক টাকা দিচ্ছে, তখন ওখানে গিয়ে যোগ দিন না। মাল্টি ন্যাশনালের কোনও বাবু নই আমি, মানুষের করের টাকায় মাইনে হয়। মানুষের সেবা করাটাই আগে ব্রত হওয়া উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার পবিত্র কাজ করছে। আগের সরকার যা করে যেতে পারেনি, সেই কাজটাই করছে,’ মন্তব্য ফিরহাদ হাকিমের।
ডিএ-র দাবিতে অব্যাহত আন্দোলন: বাজেটে ডিএ ঘোষণা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগে, যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের ডাকে আজ একাধিক সরকারি অফিসে ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন হল। সঙ্গে আগামী ১০ তারিখ মঞ্চের ডাকা বনধের সমর্থনে প্রচারও করা হয়। একদিকে বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবি। অন্যদিকে, ডিএ নিয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তি ঘিরে দ্বিচারিতার অভিযোগ।প্রতিবাদে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের ডাকে মঙ্গলবার, দুপুর দুটো থেকে দু'ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন হল বিভিন্ন সরকারি অফিসে। ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেট পেশের দিন, সরকারি কর্মীদের ৩ শতাংশ ডিএ দেওয়ার ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু আন্দোলনকারীদের দাবি, সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে ৬ শতাংশ ডিএ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আদতে সরকার ঘোষণা করেছে ৩ শতাংশ ডিএ। আগের ৩ শতাংশ ডিএ, নতুন ঘোষণার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে ১০ মার্চ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সমর্থন করছে সিপিএমের রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি।যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের ডাকে ২ ঘণ্টার কর্মবিরতির এদিন আংশিক প্রভাব পড়েছিল নবান্নেও। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের অবস্থান বিক্ষোভ এদিন ৩৩ দিনে পড়ল। অন্যদিকে, অনশন আন্দোলনের এদিন ছিল ১৯- তম দিন। কলকাতার পাশাপাশি একাধিক জেলাতেও কর্মবিরতি পালন করেন সরকারি কর্মীরা। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ পুরসভায় বেলা ১২টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। ডিএ নিয়ে ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।