West Bengal News Update: এপার বাংলায় এসে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য জাল পাসপোর্ট, জালে ডাকঘরের অস্থায়ী কর্মী
Bangladesh News Update: রাজ্য, দেশ, বিদেশ... সব খবর জেনে নিন এক ঝলকে
এবার ভারতকে পরমাণু-বোমার হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তা ও লিবারাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ।
পাসপোর্ট জালিয়াতিতে পোস্ট অফিসের স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মীদের ভূমিকা নজরে এসেছে! তদন্তকারীদের দাবি, প্রথমে যার পাসপোর্ট বানানো হবে, তার ভুয়ো পরিচয়পত্র এবং ভুয়ো শিক্ষাগত সার্টিফিকেট তৈরি করা হত। তার ভিত্তিতে যথাযথভাবে পাসপোর্টের আবেদন করা হত। সেই তথ্য় ভেরিফিকেশনের পর, তৈরি হত পাসপোর্ট। অর্থাৎ সব নথি ভুয়ো। তার ভিত্তিতে তৈরি হল আসল ভারতীয় পাসপোর্ট!
তারপর সেই পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য় পৌঁছোত সংশ্লিষ্ট পোস্ট অফিসে। পুলিশ সূত্রে দাবি, পোস্ট অফিসেই শুরু হত জালিয়াতির ফাইনাল এপিসোড। কারসাজি করে পাসপোর্টের খামের গায়ে সাঁটা হত ভুয়ো ঠিকানা, যার কোনও অস্তিত্ব নেই। ফলে শেষ অবধি ঠিকানা ডেলিভারি না হয়ে সেই খাম ফিরে আসত পোস্ট অফিসে। পোস্ট অফিসের যে কর্মীরা এই জালিয়াতি চক্রের অংশ, তারা এই খাম নিয়ে নিত। তারপর ২-৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তা পৌঁছে দিত নির্দিষ্ট লোকের হাতে।
বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতির জেরে, সীমান্তে শরণার্থীর ভিড়। বাংলাদেশে জেল ভেঙে পালানো জঙ্গিরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছে কিংবা ঢোকার চেষ্টা করছে কি না, সেই উদ্বেগ-আশঙ্কার মধ্যেই এপারে রমরমিয়ে শুরু হয়েছে পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্র। ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ করলেই, পাওয়া যাচ্ছে হাতেগরম ভারতীয় পাসপোর্ট! আর এই জালিয়াতি চক্রে অন্য়তম ভূমিকা নিচ্ছে পোস্ট অফিসের স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মীরা। সম্প্রতি পরপর চারজনের গ্রেফতারির পর, চাঞ্চল্য়কর পর্দাফাঁস হয়েছে এই চক্রের! আদালতে দাঁড়িয়ে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন , ইতিমধ্য়ে ৭৩ জন বাংলাদেশের নাগরিকের হাতে ভারতের পাসপোর্ট পৌঁছে গেছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, এই সংখ্য়াটা বেড়ে ২৫০-ও হতে পারে।
জাল পাসপোর্ট মামলায় পঞ্চম গ্রেফতার। বেহালার পর্ণশ্রী থেকে গ্রেফতার দীপঙ্কর দাস। দীপঙ্করের বিরুদ্ধে জাল নথি তৈরির অভিযোগ। এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বসিরহাট পোস্ট অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর তারকনাথ সেনকে। ধৃত যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ছাত্র এবং ঢাকুরিয়া পোস্ট অফিসের অস্থায়ী কর্মী দীপক মণ্ডল। ধরা পড়েন বারাসাতের বাসিন্দা সমরেশ বিশ্বাস ও তাঁর ছেলে রিপন
দেওয়ালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান লেখায় আক্রমণের অভিযোগ। চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলায় আওয়ামি ছাত্র লীগের ২ সদস্যর উপর হামলার অভিযোগ। ছাত্র লীগের ২ সদস্যকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে, ফেসবুক পোস্টে দাবি আওয়ামি লীগের
লোকসভা পেশ হল 'এক দেশ, এক ভোট' বিল। বিলের পক্ষে ভোট দিলেন সরকার পক্ষের ২৬৯ জন সাংসদ। বিপক্ষে ১৯৮ জন। তবে আরও আলোচনার জন্য বিল পাঠানো হচ্ছে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে।
দিনহাটার চৌধুরীহাট ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার পাকিস্তানে তৈরি মর্টার শেল। গতকাল এক কৃষক তার জমিতে খোঁড়ার সময় শেলটি লক্ষ্য করেন। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়, খবর যায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে। মর্টার শেলটিকে হেফাজতে নিয়েছে বিএসএফ। খবর দেওয়া হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বম্ব স্কোয়াডকে
কর্ণাটক থেকে পশ্চিমবঙ্গ। বাংলাদেশে অশান্তির আবহে সামনে এসেছে ভুয়ো নথি তৈরি করে ভারতে আসার একাধিক অভিযোগ। তার ওপর আশঙ্কা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ জেল ভেঙে বন্দি পালানোর ঘটনা। বাংলাদেশ সরকারই জানাচ্ছে, যে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের মধ্যে অন্তত চুয়াত্তর জন এখনও ধরা পড়েনি। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, পশ্চিমবঙ্গে তৈরি এইসব জাল পাসপোর্ট জঙ্গিদের হাতে পৌঁচ্ছে যায়নি তো?
পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ যে চারজনকে গ্রেফতার করেছে, তার মধ্য়ে রয়েছে বসিরহাট পোস্ট অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর তারকনাথ সেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ছাত্র এবং ঢাকুরিয়া পোস্ট অফিসের অস্থায়ী কর্মী দীপক মণ্ডল। বারাসাতের বাসিন্দা সমরেশ বিশ্বাস ও তাঁর ছেলে রিপন। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত দীপকই ভুয়ো তথ্য়ের ভিত্তিতে তৈরি পাসপোর্টগুলো পোস্ট অফিস থেকে সংগ্রহ করত। তারপর ক্য়ুরিয়র করে থেকে সেগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় চালান করে দিত।
বাগুইআটিতে প্রোমোটারকে মারধরের ঘটনায় এখনও অধরা অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর। গতকাল ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন দিয়ে শাসক নেতার ফ্ল্যাটে নোটিস ঝুলিয়েছে পুলিশ। নোটিসে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে থানায় তলব করা হয়েছে কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তীকে। নোটিসে পাত্তা না দিয়ে ঘটনার তিনদিনের মাথাতেও বেপাত্তা তৃণমূল কাউন্সিলর। বিধাননগর পুলিশ সূত্রে দাবি, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরকে বারবার ফোন করা হয়েছে। তাঁর মোবাইল বলছে 'নট রিচেবল', দাবি বিধাননগর পুলিশ সূত্রের। গতকাল রাজ্য় পুলিশের ডিজির অফিসে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত প্রোমোটার
ED-র মামলায় জামিন পেলেও, এবার, CBI-এর জালে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় 'কালীঘাটের কাকু'কে নিজেদের হেফাজতে নিল CBI. মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ CBI-এর একটি টিম প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে যায়। রাতেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে আনা হয় জোকা ESI হাসপাতালে। সেখানেই মেডিক্য়াল বোর্ড গঠন করে তাঁর স্বাস্থ্য় পরীক্ষা করা হয়। রাত ২.২৬ মিনিট নাগাদ তাকে নিয়ে আসা হয় নিজাম প্য়ালেসে। সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
বাংলাদেশে ফের রক্তাক্ত হিন্দুরা। ভোলা জেলার এক ব্য়বসায়ীকে টাকার জন্য় ইসলামিক মৌলবাদীরা রড দিয়ে মেরেছে বলে অভিযোগ। ভয়েজ অফ বাংলাদেশি হিন্দুজের পোস্টে অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত হিন্দু ব্য়বসায়ী। হামলার খবর রি-পোস্ট করেছেন ইসকনের কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস।
চার হাজারেরও বেশি ভুয়ো রেশন কার্ড বানিয়ে রেশন সামগ্রী লুঠ করেছেন রেশন ডিলার। মালদার কালিয়াচকে অভিযোগ উঠল রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীরাই অভিযোগ জানিয়েছেন জেলাশাসকের কাছে। যথারীতি এই নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। দুর্নীতির অভিযোগ মানছেন না রেশন ডিলারের ছেলে।
এপার বাংলায় এসে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য জাল পাসপোর্ট। জালে ডাকঘরের অস্থায়ী কর্মী। ভুয়ো পাসপোর্ট পিছু ২ লক্ষ নেওয়ার দাবি পুলিশের।কলকাতা থেকে উঃ ২৪ পরগনা, রাজ্য জুড়ে জাল পাসপোর্ট-চক্রের পর্দাফাঁস।ভুয়ো নথি, ভুয়ো ঠিকানায় পাসপোর্ট, তাও ধরা পড়ল না পুলিশ ভেরিফিকেশনে!
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতির জেরে, সীমান্তে যখন শরণার্থীর ভিড়, তখন এপারে রমরমিয়ে শুরু হয়েছে পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্র। দুই থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার বিনিময়ে, জাল নথি দিয়ে বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাসপোর্ট। কিনতু, আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে, সেই পাসপোর্ট বাংলাদেশে জেল ভেঙে পালানো জঙ্গিদের হাতেও পৌঁছে যাচ্ছে না তো? বাংলাদেশে মৌলবাদীদের অত্য়াচার থেকে বাঁচতে, এপারে পালিয়ে আসতে চাইছে বহু হিন্দু শরণার্থী। কেউ কেউ মরিয়া হয়ে এপারে চলে আসছে, আর ফিরতে চাইছেন না। আবার বাংলাদেশে জেল ভেঙে পালানো জঙ্গিরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছে কিংবা ঢোকার চেষ্টা করছে কি না...সেই উদ্বেগ-আশঙ্কাও রয়েছে... আর এই আবহেই কলকাতা থেকে জেলা...রমরমিয়ে শুরু হয়েছে পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্র! ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ করলেই, পাওয়া যাচ্ছে হাতেগরম ভারতীয় পাসপোর্ট! আর এই জালিয়াতি চক্রে অন্য়তম ভূমিকা নিচ্ছে পোস্ট অফিসের স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মীরা। সম্প্রতি পরপর চারজনের গ্রেফতারির পর, চাঞ্চল্য়কর পর্দাফাঁস হয়েছে এই চক্রের! আদালতে দাঁড়িয়ে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন ইতিমধ্য়ে ৭৩ জন বাংলাদেশের নাগরিকের হাতে ভারতের পাসপোর্ট পৌঁছে গেছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, এই সংখ্য়াটা বেড়ে ২৫০-ও হতে পারে। ৫ অগাস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে অস্থিরতা শুরু হয়। ঘটনাচক্রে এই পাসপোর্ট জালিয়াতিও প্রথম নজরে আসে অগাস্ট মাসেই। তখন RPO বা রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিস থেকে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়। বেশ কিছু পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে তার জন্য় দেওয়া নথি ভুয়ো। ভবানীপুর থানা এই অভিযোগ ফরওয়ার্ড করে কলকাতা পুলিশের সিকিওরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনকে। তদন্তকারীদের চোখ কপালে তোলে, এই জালিয়াতিতে পোস্ট অফিসের স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মীদের ভূমিকা! তদন্তকারীদের দাবি, প্রথমে যার পাসপোর্ট বানানো হবে, তার ভুয়ো পরিচয়পত্র এবং ভুয়ো শিক্ষাগত সার্টিফিকেট তৈরি করা হত। তার ভিত্তিতে যথাযথভাবে পাসপোর্টের আবেদন করা হত। সেই তথ্য় ভেরিফিকেশনের পর, তৈরি হত পাসপোর্ট। অর্থাৎ সব নথি ভুয়ো। তার ভিত্তিতে তৈরি হল আসল ভারতীয় পাসপোর্ট! তারপর সেই পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য় পৌঁছোত সংশ্লিষ্ট পোস্ট অফিসে। পুলিশ সূত্রে দাবি, পোস্ট অফিসেই শুরু হত জালিয়াতির ফাইনাল এপিসোড। কারসাজি করে পাসপোর্টের খামের গায়ে সাঁটা হত ভুয়ো ঠিকানা, যার কোনও অস্তিত্ব নেই। ফলে শেষ অবধি ঠিকানা ডেলিভারি না হয়ে সেই খাম ফিরে আসত পোস্ট অফিসে। পোস্ট অফিসের যে কর্মীরা এই জালিয়াতি চক্রের অংশ, তারা এই খাম নিয়ে নিত। তারপর ২-৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তা পৌঁছে দিত নির্দিষ্ট লোকের হাতে। পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ যে চারজনকে গ্রেফতার করেছে, তার মধ্য়ে রয়েছে বসিরহাট পোস্ট অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর তারকনাথ সেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ছাত্র এবং ঢাকুরিয়া পোস্ট অফিসের অস্থায়ী কর্মী দীপক মণ্ডল। বারাসাতের বাসিন্দা সমরেশ বিশ্বাস ও তাঁর ছেলে রিপন। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত দীপকই ভুয়ো তথ্য়ের ভিত্তিতে তৈরি পাসপোর্টগুলো পোস্ট অফিস থেকে সংগ্রহ করত। তারপর ক্য়ুরিয়র করে থেকে সেগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় চালান করে দিত। সেই ক্য়ুরিয়র সংস্থার ফ্র্য়াঞ্চাইজি অফিসও খুঁজে পেয়েছি আমরা। পুলিশ সূত্রে দাবি, এই চক্রের অন্য়তম পাণ্ডা সমরেশ বিশ্বাস। বারাসাতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছেছিলাম আমরা। পুলিশ সূত্রে দাবি, পাসপোর্ট-জালিয়াতির তদন্তে ভুয়ো ঠিকানাগুলো খতিয়ে দেখতে গিয়েই চোখ কপালে ওঠে তদন্তকারীদের। ঠিকানা আলাদা হলেও ঠিকানাগুলোর পিনকোড আশ্চর্যজনকভাবে ছিল এক। অর্থাৎ ঠিকানা চিৎপুরের হোক বা বিডন স্ট্রিটের। পিন কোড ছিল একই। আর সেটা পঞ্চসায়র এলাকার।
এই সূত্র ধরে, পঞ্চসায়র পোস্ট অফিসে গিয়েই, পুলিশ জানতে পারে ধৃত দীপক মণ্ডল আগে এখানে কাজ করতেন। তারপরই সামনে আসতে শুরু করে একের পর এক চাঞ্চল্য়কর তথ্য়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -