ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : অবশেষে বিরাট স্বস্তির খবর। নিপা ভাইরাসে ( Nipah Virus ) আক্রান্ত নন কেরল থেকে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিক ( Migrant Labour ) । খবর হাসপাতাল সূত্রে। এসেছে বহু প্রতীক্ষিত রিপোর্ট। রিপোর্ট নেগেটিভ, জানিয়েছে পুণের ন্যাশনাল ইনস্টটিউট অফ ভাইরোলজি। বর্তমানে বেলেঘাটা আইডি-তে ( Beleghata ID ) ভর্তি আছেন কেরল ফেরত মঙ্গলকোটের যুবক।
ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার ( Dengue , Malaria ) জোড়া ফলার মধ্যেই রাজ্যের মানুষের কপালে ভাঁজ ফেলেছিল নিপা-শঙ্কার মেঘ! নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হন কেরল থেকে আসা এক পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁর উপসর্গগুলির সঙ্গে নিপা আক্রান্তের উপসর্গের মিল থাকায় বাড়ছিল শঙ্কা। সেই সঙ্গে আরও বড় আতঙ্কের কারণ ছিল, তিনি কেরল থেকে ফিরেছেন, যে কেরলে নিপা সংক্রমণ ছড়িয়েছে। আর তাতেই বাড়ে আতঙ্ক। তবে আপাতত স্বস্তি মিলছে ওই রিপোর্টে।
আরও পড়ুন :
বাড়ছে উদ্বেগ, এবার খড়গপুরে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু একজনের
টানা জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই যুবক। ফুসফুসে সংক্রমণও ছিল। অসুস্থ ওই ব্যক্তির দুটি পা-ই ফোলা ছিল। কেরলে ওই যুবক যাঁদের সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের অনেকেই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা যায়, এর মধ্যে অজানা জ্বরে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। তাতেই আতঙ্ক বাড়ছিল। এর মধ্যে মুশকিল হল, তিনি নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, তা জানার কোনও উপায় ছিল না পশ্চিমবঙ্গে। কারণ, এখনও এখানে এরকম কোনও পরিকাঠামোই গড়ে ওঠেনি! মানুষের শরীরে নিপা ভাইরাস সংক্রমণকে চিহ্নিত করার জন্য ভরসা করতে হয়, পুণের ন্যাশনাল ইনস্টটিউট অফ ভাইরোলজি। অবশেষে সেখান থেকেই এল স্বস্তির খবর।
চিকিৎসক সুমন পোদ্দার জানিয়েছেন, একবার নিপা সংক্রমণ হলে খুব তাড়াতাড়ি শ্বাসকষ্ট তৈরি করছে, এনকেফেলাইটিস হয়ে যাচ্ছে। ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ আক্রান্ত এক্ষেত্রে মারা যান। এই ভাইরাসের চিকিৎসা নেই। মারণ ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি, তবে খুব দ্রুত ছড়ায় না। ফ্রুট ব্যাটস নামে এক ধরনের বাদুড়ের মারফত ছড়ায় এই রোগ। কোনও ফল বাদুড় খেয়ে যাওয়ার পর যদি সেই ফল কোনও মানুষ খেয়ে নেন, তাহলে তিনি সংক্রমিত হবেন। বাদুড়ে খাওয়া বা প্রস্রাব করা ফল বা ফলের আনপাস্তুরাইজড জুস খেলে সংক্রমণ হতে পারে। এছাড়া খেজুড়ের রস বা তাড়ি থেকেও সংক্রমণ হতে পারে যদি তাতে ফ্রুট ব্যাট মুখ দিয়ে থাকে। তাই যদি কোনওভাবে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে এসে থাকেন বা জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা চলতে থাকে, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।