কলকাতা: বিজেপি করায় কোচবিহারে (Cooch Behar) মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারের অভিযোগ! মাথাভাঙায় মহিলা বিজেপি (BJP) কর্মীকে 'বিবস্ত্র করে মার', তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, ২৫ জুন মারধরের পরে মহিলাকে বাড়িতে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে মহিলা বিজেপি কর্মীর উপর অত্যাচারের অভিযোগ করা হচ্ছে। যদিও সেই অভিযোগ মানতে চায়নি রাজ্যের শাসক দল। পারিবারিক অশান্তির জের, আর সেই দায় চাপানো হচ্ছে দলের ওপর, জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজনীতি, অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি তৃণমূলের। এই ঘটনায় ১ মহিলা-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পারিবারিক বিবাদেই মহিলার উপরে হামলা, দাবি পুলিশ সূত্রে।
গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে কোচবিহারে। লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে। সাত দফায় ভোটের পর গত ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল। সমস্ত বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণিত করে এই রাজ্যে দারুণ ফল করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যে মোট ৪২টি আসনের মধ্যে ২৯টি আসন জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১২টি আসন জিতেছে বিজেপি। সিপিএম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী জিতেছেন একটি আসনে।
ভোট মিটে যাওয়ার পর থেকে অবশ্য বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে ভোট পরবর্তী হিংসা। বিরোধীরা বারবার নিশানা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। বলা হচ্ছে, অন্য কোনও রাজ্যে যেখানে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা কার্যত বিরল, ব্যতিক্রমী, সেখানে বাংলায় কেন ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর এত রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে? গত বিধানসভা ভোটের পর তো রাজ্যপালকে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা সামলানোর জন্য কন্ট্রোল রুম খুলতে হয়েছিল রাজভবনে।
যদিও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বারবার এর দায় চাপিয়েছে বিরোধীদের ঘাড়ে। জানিয়েছে, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি কলুষিত করার জন্য চক্রান্ত করছে বিজেপি।
রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি তা মানতে নারাজ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়াদের হয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিলেন।
সেই আবহেই এবার কোচবিহারে ফের রাজনৈতিক পারদ চড়ল ভোট পরবর্তী হিংসাকে কেন্দ্র করে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।