পূর্ণেন্দু সিংহ ও চঞ্চল মজুমদার, বাঁকুড়া, দক্ষিণ দিনাজপুর: খোলাবাজারে আলুর দামে রাশ টানতে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যের সব হিমঘরে মজুত আলু ফাঁকা করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তাতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ বাঁকুড়ার আলু চাষি, ব্যবসায়ীদের। এত দ্রুত মজুত আলু বের করা সম্ভব নয়, দাবি হিমঘর কর্তৃপক্ষের। মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছেন কৃষক থেকে ব্যবসায়ীরা।


৩০ নভেম্বর ডেডলাইন। মেরে কেটে হাতে দিন পনেরোর কিছু বেশি। এখনও হিমঘরগুলিতে পড়ে রয়েছে লক্ষ লক্ষ টন আলু। এত অল্প সময়ে কী করে বের করা হবে সব আলু? ক্ষতির আশঙ্কায় এখন মাথায় হাত বাঁকুড়ার আলু চাষি থেকে ব্যবসায়ীদের। বাঁকুড়ার এক আলু চাষি সহদেব নন্দী বলেন, খুব সমস্যা হবে, ক্ষতির মুখে পড়ব। সময়সীমা বাড়াতে অনুরোধ করব। আনাজের চড়া বাজারে কিছুটা নাগালের মধ্যে ছিল আলু। কিন্তু অক্টোবরের শেষদিকে হু-হু করে বাড়তে শুরু করে আলুর দাম। দামে রাশ টানতে রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতরের তরফে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। বলা হয়েছে, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যের সব হিমঘরে মজুত আলু খালি করে ফেলতে হবে। 


আরও পড়ুন, দমদম সেভেন ট্যাঙ্কসে খোলা ম্যানহোলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের


কৃষি বিপনন মন্ত্রী, বিপ্লব মিত্র বলেন,"আলুর দাম দিন দিন বাড়ছে, দাম কমানোর জন্যই এই নির্দেশিকা।" বাঁকুড়ার এক হিমঘর মালিকের দাবি, বাঁকুড়ার ৪৫টি হিমঘরে এ বছর রাখা হয়েছে ১ কোটি ৫০ লক্ষের বেশি বস্তা আলু। হিমঘরে রয়েছে এখনও প্রায় ৩৩ শতাংশ আলু। মাসের শেষ পর্যন্ত আরও ১২-১৫% আলু হিমঘর থেকে বের করা গেলেও বাকি আলু বের করা সম্ভব নয়। 


এই পরিস্থিতিতে, সরকারের কাছে হিমঘর খালি করার সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানাচ্ছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিভাস দে বলেন, "৩০ নভেম্বরের মধ্যে খালি করার প্রশ্ন ওঠে না। ব্যবসায়ীরা আবেদন করছি, যাতে সময়সীমা বাড়ানো হবে। সারাবছর কমদামে বিক্রি করেছিল। ক্ষতি হবে।" 


তেল থেকে সবজি...সবই আকাশছোঁয়া। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা কার্যকর হলে আলুর দাম নাগালে আসবে, আশায় মধ্যবিত্ত।