পার্থ প্রতিম ঘোষ, কলকাতা: লুঠ করে খুনের আগাম পরিকল্পনা ছিল কাঁকুলিয়া (Kankulia) কাণ্ডে অভিযুক্তদের। খুনের (Murder) পরিকল্পনা নিয়েই কর্পোরেট কর্তার বাড়িতে যায় অভিযুক্তরা। প্রচুর টাকা নিয়ে ঘোরেন সুবীর চাকী (Subir Chaki) এই ধারণাতেই বাড়িতে হানা। অভিযুক্তরা ভেবেছিল বাড়িতেই মিলবে প্রচুর টাকা, গয়না। ভিকি-সহ ধৃতদের জেরায় মিলেছে তথ্য, দাবি পুলিশের। নিহত কর্পোরেট কর্তার একাধিক ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড উদ্ধার। উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও। এদিকে, এদিন জোড়া খুনে ধৃত ভিকি হালদারকে (Vicky Halder) নিয়ে ডায়মন্ড হারবারে তল্লাশি চালায় লালবাজারের (Lalbazar) হোমিসাইড শাখার পুলিশ। ডুবুরি নামিয়ে মগরাহাট খালে ঘণ্টাদুয়েক ধরে চলে তল্লাশি।
গত ১ নভেম্বর কাঁকুলিয়া হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভিকিকে গ্রেফতার করা হয়। মুম্বই থেকে ভিকিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। একটি ৪৮ তলা নির্মীয়মান বহুতলের পার্কিং লট থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সূত্র মারফত খবর পেয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ভিকির সঙ্গী শুভঙ্কর মণ্ডলকেও। ট্রানজিট রিমান্ডে দুজনকে কলকাতা নিয়ে আসা হয়।
গত ১৮ অক্টোবর সাতসকালে শহরের প্রাণকেন্দ্রে জোড়া খুনে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। গড়িয়াহাট থানার কাঁকুলিয়া রোডে বাড়ির মধ্যে থেকে জোড়া দেহ উদ্ধার হয়। জানা যায়, রক্তাক্ত দেহ দুটি বাড়ির মালিক ও তাঁর চালক। মৃত ২ জনের নাম সুবীর চাকি ও তাঁর চালক রবীন মণ্ডল। পুলিশ সূত্রে খবর, কাঁকুলিয়া রোডে ওই পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির কথা চলছিল। ঘটনার আগের দিন বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ নিউটাউনের বাড়ি থেকে কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে আসেন বছর একষট্টির প্রৌঢ় ও তাঁর গাড়িচালক। সম্পত্তি বিক্রি নিয়ে আলোচনার জন্য ফোনে কাউকে ডাকা হয়। সন্ধে থেকেই মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায় প্রৌঢ় ও গাড়িচালকের। পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশী ও গড়িয়াহাট থানায় বিষয়টি জানান।এরপরই পুলিশ এসে একতলা থেকে মালিক ও দোতলা থেকে চালকের দেহ উদ্ধার করে। দেহ দুটির ঘাড়, কবজি ও পায়ে গভীর ক্ষত ছিল। প্রাথমিকভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নামে লালবাজারের হোমিসাইড শাখাও।