কলকাতা: দমদম সেভেন ট্যাঙ্কসে খোলা ম্যানহোলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল প্রৌঢ়ের। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাতে বাড়ি ফিরছিলেন পেশায় অটোচালক ৫২ বছরের রঞ্জন সাহা। অন্ধকারে দেখতে না পেরে তিনি খোলা ম্যানহোলে পড়ে যান। স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করেন। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রৌঢ়কে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। এই নিয়ে কলকাতা পুরসভার প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাতে বাড়ি ফিরছিলেন পেশায় অটোচালক ৫২ বছরের রঞ্জন সাহা। অন্ধকারে ঠাহর করতে না পেরে তিনি খোলা ম্যানহোলে পড়ে যান। স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করেন। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রৌঢ়কে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, ম্যানহোল ঢাকা থাকলে ওই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটত না। পরিবারের সদস্যের এই দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুকে শোকে ভেঙে পড়েছেন তাঁরা। রঞ্জন সাহা ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য। এই অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা তাঁর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন। তাঁর স্ত্রী বলেছেন, এখন সংসার চলবে কীভাবে তা ভাবতে পারছেন না তিনি।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাঁরাই কয়েকজন ছুটে এসে ওই ব্যক্তিকে ম্যানহোল থেকে টেনে বের করেন। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
গত সেপ্টেম্বরে নিউটাউনের (New Town) সাপুরজিতে জমা জলে বিপত্তি দেখা দিয়েছিল। ম্যানহোলে পড়ে আটকে গিয়েছিলেন এক মহিলা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা করে তাঁকে উদ্ধার করে দমকল। জানা গিয়েছিল যে, ওই মহিলা জল জমা রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন। কোনও একটা জায়গায় ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা ছিল। দুর্ঘটনাজনিত কারণে তিনি ম্যানহোলের ভিতরে পড়ে যান। ঘটনার পর টেকনো সিটি থানা, এনডিআরএফ (NDRF) এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। দমকলের দুটি দল মহিলাকে উদ্ধার করে। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।