কলকাতা: শেষ হচ্ছে প্রায় দু’বছরের অপেক্ষার। আবার কচিকাঁচাদের উপস্থিতিতে গমগম করবে ক্লাসরুম। করোনার কারণে ২০২০ তে হঠাৎ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্কুলের দরজা। বুধবার থেকে ফের খুলে যাচ্ছে প্রাইমারি স্কুল। কিন্তু দীর্ঘদিন তালাবন্দি থাকার পর কী অবস্থায় রয়েছে স্কুলগুলি?


দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের কুন্তলা জুনিয়র বেসিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। একে দু’বছর ধরে ছাত্রদের পা পড়েনি এই স্কুলে। তারওপর আমফান, ইয়াসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধাক্কা খেয়েছে স্কুল। যার পরিণতিতে শিক্ষাঙ্গনের ভগ্নদশা। কোথাও ভেঙে পড়েছে দেওয়াল। ছাউনি উড়েছে দোতলা স্কুলের একাংশের।  আর এনিয়েই চিন্তায় প্রধান শিক্ষক থেকে অভিভাবকরা। সোনারপুরের সুমোদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থাও তথৈবচ। নোনা ধরেছে অনেক দেওয়ালেই। স্কুল চত্বরে গজিয়ে উঠেছে আগাছা। বুধবার খুলবে স্কুল তাই চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ। হাইস্কুলগুলিতে আগেও ক্লাস হয়েছে, কিন্তু, ব্যতিক্রম প্রাইমারি স্কুল। টানা দু’বছর বন্ধ। এতদিন ধরে বন্ধ থাকার ফলে তার যে কী দশা হয়েছে, তা ধরা পড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের কাঞ্চনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়েও। মাথার ওপরে বিপজ্জনক ভাবে ঝুলছে টালির চাল।  ভেঙে গিয়েছে দরজা, জানলা।  শোচনীয় অবস্থা বাঁকুড়া শহরের মিশন বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও। জানলায় গজিয়েছে গাছ। উই ধরেছে টেবিলে। ভেঙে পড়েছে বেঞ্চ। নোংরায় ভরে গিয়েছে নথি রাখার বাক্সগুলি। তবে শত সমস্যাতেও বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে চাইছেন অভিভাবকরা।


জলপাইগুড়ির পিলখানায় সারদা বিদ্যাপীঠ প্রাইমারি স্কুলে চলছে ক্লাস চালু করার তোড়জোড়। তবে দু’বছর ধরে খুদে পড়ুয়ারা স্কুলমুখী না হওয়ায়, যে বেশ কিছুটা সমস্যায় পড়তে হবে তা মানছেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান। তালাবন্দি থাকায় করুণ দশা বীরভূমের বোলপুরের একাধিক প্রাইমারি স্কুলেরও। ভেঙে পড়েছে খোস কদমপুর পারুলডাঙা নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের পাঁচিল।উই ধরেছে বেঞ্চ ও স্কুলের দেওয়ালে। তবে দু’বছর বাদে ক্লাস চালু হচ্ছে। এতেই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন অভিভাবকরা। প্রাইমারি স্কুল খোলার তোড়জোড় চলছে সিউড়ি ও দুর্গাপুরেও। ক্লাসরুম পরিষ্কারের পাশাপাশি, স্যানিটাইজও করা হচ্ছে। প্রস্তুতি সারা। এবার অপেক্ষা ক্লাসের ঘণ্টা পড়ার।


আরও পড়ুন: WB Corona Cases: রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিত ৩৪৮, মৃত্যু ২১ জনের