সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: রামনবমীর (Rama Navami) মামলায় রাজ্যের (West Bengal) ভূমিকায় ক্ষোভ আদালতের (Calcutta High Court)। ক্ষোভপ্রকাশ হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর। 


আদালতের তরফে বলা হয়, 'হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে লাখ লাখ টাকা খরচ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন আপনারা(রাজ্য)। সুপ্রিম কোর্টের রায় আপনাদের বিপক্ষে গিয়েছে। এখন আর কোনওভাবে এই আদালত আপনাদের মামলার মধ্যে ঢুকবে না', মন্তব্য বিচারপতির।                            


এদিন বিচারপতি বলেন, আগে এনআইএ-কে নথি হস্তান্তর করুন, তারপর দেখব। রাজ্য টাকা খরচ করে সুপ্রিম কোর্ট যাবে, সেখানে পক্ষে রায় না পেলেও আদালতের নির্দেশ মানবে না এটা হতে পারে না, আদালতের নির্দেশ পালন না করে আপনারা বিষয়টিকে আরও জটিল করছেন,  মন্তব্য বিচারপতির। 


গত মার্চ মাসে, রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া এবং উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় দফায় দফায় অশান্তি হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলায়, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ, হাওড়া, হুগলি, ডালখোলায় অশান্তির ঘটনায় NIA-কে তদন্তভার দেয়।                                            


আরও পড়ুন, 'টাকার দিকে না তাকিয়ে রোগী এলে ব্যবস্থা নিন', ডেঙ্গি নিয়ে নার্সিংহোম-হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর


এরপর, NIA তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে সু্প্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকারের এই আবেদনে সাড়া দেয়নি সর্বোচ্চ আদালত। NIA তদন্তের বিষয়টি হাইকোর্টের ওপরেই ছেড়ে রাখে সর্বোচ্চ আদালত। যে আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, এবার কার্যত একই আবেদন জানিয়ে, তারা দ্বারস্থ হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যর বেঞ্চে।


মামলার তদন্তভার গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তা খারিজের আবেদন জানানো হয়। ওই বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে যদি কোনও পদক্ষেপ করা হয়ে থাকে, তার উপরও স্থগিতাদেশ জারির আর্জি জানানো হয়।


অন্যদিকে ইতিমধ্যেই, বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছে NIA। তারওপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর, NIA-কে ঠেকাতে রাজ্য সরকার ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায়, স্বাভাবিকভাবেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।