সন্দীপ সরকার, কলকাতা : উদ্বেগ বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adino Virus) সংক্রমণ নিয়ে। শুধুমাত্র পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউ অফ চাইল্ড হেলথে (Institute of Child Health) এর উপসর্গ নিয়ে অন্তত ৫০ জন শিশু ভর্তি হয়েছে, দাবি চিকিৎসকদের। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় না হলে, প্রাণঘাতী হতে পারে অ্যাডিনো ভাইরাস, বলছেন চিকিৎসকরা।


নতুন আতঙ্ক


ডেঙ্গির (Dengue) রেশ কাটতে না কাটতেই, এবার আতঙ্কের কেন্দ্রবিন্দুতে অ্যাডিনো ভাইরাস। ইতিমধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে শিশু হাসপাতালগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে ভিড়। অনেক ক্ষেত্রে ICU, এমনকি ভেন্টিলেশনে পর্যন্ত রাখতে হচ্ছে আক্রান্তদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষেত্রে উপসর্গ মূলত ফ্লু-এর মতোই।           


কী কী উপসর্গ


জ্বর, গলা ব্যথা, বুকে সর্দি বসে যাওয়া, ফুসফুসে সংক্রমণ, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ডায়ারিয়া, বমি, পেট ব্যথা। গত এক মাসে, শুধুমাত্র পার্ক সার্কাসের ইন্সটিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে অন্তত ৫০ জন শিশু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি, এই মুহূর্তে পেডিয়াট্রিক ICU-তে ভর্তি রয়েছে ৩ জন। যার মধ্যে ২ জন রয়েছে ভেন্টিলেশনে। জেনারেল ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে ১০ জন।


বাঁকুড়ার ইন্দাসের বছর ১১-র এক বালিকা, অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৮ দিন ধরে ভর্তি রয়েছে পার্কসার্কাসের ইনস্টিটিউ অফ চাইল্ড হেলফে। অক্সিজেন সাপোর্ট সিস্টেমে রাখতে হয়েছে তাকে। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় না হলে, প্রাণঘাতী হতে পারে অ্যাডিনো ভাইরাস, বলছেন চিকিৎসকরা। 


প্রসঙ্গত, রাজ্যে বাড়ছে হুপিং কাশি আক্রান্তের সংখ্যাও। একটা সময় ছিল, যখন হুপিং কাশি নামটা শুনলেই ভয়ের উদ্রেক হত! এর সঙ্গে লড়াই করতে ১৯৭৮ সালে দেশে শুরু হয় DTP অর্থাৎ Diptheria-Tetanus-Pertussis triple-antigen-এর ভ্যাকসিনেশন। বর্তমানে সদ্যোজাতদের এই ভ্যাকসিন প্রথম দেওয়া হয় জন্মের দেড় থেকে দু মাসের মধ্যে। তারপর, ৪ মাস, ৬ মাস ও ১৮ মাস বয়সে এই ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়।  


একদিকে, চিকেন পক্সে রাজ্যে গত দেড় মাসে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। আতঙ্ক বাড়ছে হুপিং কাশির সংক্রমণ নিয়ে। এবার উদ্বেগ অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়েও।


আরও পড়ুন- রিমোট ভোটিং নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল, থমকে গেল কার্যকারিতা দেখানোর কাজ