কলকাতা : প্রতীক্ষার অবসান, প্রকাশিত হয়েছে খসড়া ভোটার তালিকা। আপনার কাছে যদি একটি মোবাইল ফোন থাকে, তাহলেই আপনি এখনই দেখে নিতে পারবেন আপনার নাম এসআইআর পরবর্তী ভোটার তালিকায় আছে কি না। দুইভাবে আপনি দেখতে পেতে পারেন।
১. নির্বাচনের কমিশনের অ্যাপ
২. ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে খসড়া তালিকা আপনার মোবাইলে voters.eci.gov.in এই ওয়েবসাইটে ক্লিক করলেই মিলবে তালিকা। এছাড়া কমিশনের অ্যাপ ECINET-এও প্রকাশ করা হয়েছে খসড়া ভোটার তালিকা । তা ডাউনলোড করতে আপনাকে যেতে হবে GOOGLE PLAY STORE -এ। এছাড়া অ্য়াপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে ECINET অ্যাপ। যদি কোনও কারণে খসড়া তালিকায় আপনার নাম না থাকে, তাহলে কী করবেন। যদি আপনার নাম বাদ যাওয়ার তালিকায় নাম থাকে, তাহলে কী করবেন? জেনে নিন।
তালিকা সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ জানানো যাবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শুনানিতে ডাকা হবে। ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি অবধি শুনানি এবং ভেরিফিকেশন চলবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। শুনানিতে যদি আপনাকে ডাকা হয়, তাহলে আধারকার্ড ছাড়া আর কী কী আপনাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে? কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন অথবা পেনশন পান এমন পরিচয়পত্র। অথবা ১৯৮৭ সালের পয়লা জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, LIC, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া যে কোনও নথি যদি থাকে। এছাড়াও অপশন রয়েছে, বার্থ সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট, মাধ্যমিক বা তার পরের শিক্ষাগত যোগ্য়তার সার্টিফিকেট, রাজ্য সরকারের অধীনস্থ কোনও উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের সার্টিফিকেট অথবা ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট অথবা জাতিগত সার্টিফিকেট অথবা জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (শুধু অসমের ক্ষেত্রে) অথবা স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া ফ্য়ামিলি রেজিস্টার অথবা সরকারের দেওয়া ল্য়ান্ড অথবা হাউস অ্য়ালটমেন্ট সার্টিফিকেট। যদি এমন হয়, খসড়া ভোটার তালিকায় আপনার নাম নেই, অথচ কোনও শুনানির ডাক বা নোটিস পাননি। কী করবেন? নির্বাচন কমিশন বলছে, সেক্ষেত্রে, ফর্ম ৬-এর অ্য়ানেক্সার ৪ ফিলআপ করে নতুন করে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে হবে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS)-এর তিনশো সাঁইত্রিশ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কেউ যদি নথি জাল করেন, তাহলে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা হতে পারে।