রানা দাস এবং সমীরণ পাল, কলকাতা: SIR-আবহে মারাত্মক অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। তৃণমূল পরিচালিত হাটকালনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রাবন্তী মণ্ডলকে, অনুপ্রবেশকারী বলে উল্লেখ করে মহকুমাশাসকের কাছে ডেপুটেশন জমা দিল বিজেপি। যদিও তৃণমূল প্রধানের দাবি গোটা অভিযোগই মিথ্যে। এর আগে, স্বরূপনগরে আবার বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের নাম ভারত-বাংলাদেশ দুই জায়গার ভোটার লিস্টেই রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল।
রাজ্যে SIR নিয়ে তুমুল টানাপোড়েনের মধ্যেই উভয়পক্ষের নির্বাচিত জন প্রতিনিধি আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা বলে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল তৃণমূল ও বিজেপি। ইনি শ্রাবন্তী মণ্ডল। হাটকালনা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেত্রী ও প্রধান।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে লড়ে জয়ী হন। তাঁকেই পূর্ব বর্ধমানের হাটকালনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান করে তৃণমূল। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে আসেন শ্রাবন্তী। কালনার মুক্তারপুর গ্রামে স্বামী বনমালী মণ্ডলের সঙ্গে বসবাস শুরু করেন। অভিযোগ, প্রতিবেশী সচিন ব্যাপারীকে বাবা সাজিয়ে নাম তুলে নেন ভোটার তালিকায়। এমনকী তাঁর জন্মের শংসাপত্র থেকে SC সার্টিফিকেট, সবই ভুয়ো!
যদিও শ্রাবন্তী মণ্ডল বলেন, 'এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁরা প্রমাণ করুন, যে অভিযোগগুলো এনেছে তাঁরা প্রমাণ করুক। আমার যে এগুলো জাল সেগুলো প্রমাণ করুক। আমার মা-বাবা থাকত, ছোটবেলায় আমাকে নিয়ে চলে এসেছে। সে ২০০০ সালের আগে।'
অভিযোগ, পাল্টা চ্যালেঞ্জ ঘিরে শুরু হয়েছে তরজা। কালনার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গৌর মণ্ডল বলেন, 'যাঁকে বাবা-মা সাজিয়ে ভোটার লিস্টে নাম তুলেছে তাঁরা আসল বাবা-মা নয়। SC সার্টিফিকেটও তুলেছে। সে বিষয়ে প্রমাণ দিক।'
এ বিষয়ে কালনার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, 'ও কালনারই মেয়ে। কালনাতেই পড়াশুনো করেছে। ওর বাবা-মা আছে। তার ভিত্তিতেই ওর সার্টিফিকেট আছে। তারপর সে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, পরবর্তীকালে প্রধান হয়েছে।'
কালনার মহকুমা শাসক গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।