কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: শূন্য, দুই পেয়েও চার বছর ধরে শিক্ষকতা! হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission)। এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) তরফে বিজ্ঞপ্তি (Notice) দিয়ে জানান হয় যে, ৬১৮ জনের শিক্ষকের (Teacher) সুপারিশপত্র বাতিল হচ্ছে।               


সূত্রের খবর,ওএমআর শিট এবং সার্ভারে দেদার নম্বরের ফারাক রয়েছে। সেই বিষয়টি সামনে আসতেই চাকরি খোয়ালেন নবম-দশমের ৬১৮ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার। এসএসসি-এর তরফে জানান হয়েছে, প্রথম ধাপে বাতিল হচ্ছে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র। প্রসঙ্গত, এসএসসি-র স্ক্যানারে মোট ৯৫২ জন শিক্ষক রয়েছেন। তার মধ্যে প্রথম ধাপে এবার চাকরি গেল ৬১৮ জনের। 


স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ মেনে 'ভুল' সুপারিশ খুঁজে তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভময় ভুঁইয়া-সহ ১৯৩ জন প্রার্থী। ২০১৬-র এসএলএসটি-র প্রেক্ষিতে নিয়োগ নিয়ে এমন অভিযোগ ওঠে। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের নম্বরেও কারচুপি করার অভিযোগ ওঠে। বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগ নিয়ে ২১ জনের তালিকা পেশ করেছিলেন মামলাকারী। সেই সময় বিচারপতি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, 'অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে, তাই প্যানেল বাতিল করছি না। না হলে পুরো প্যানেল বাতিল করে দিতাম।'


আরও পড়ুন, 'আস্তে আস্তে ট্র্যাকে ফিরছেন রাজ্যপাল, ভাল লক্ষণ', দাবি শুভেন্দুর


তবে এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এসএসসি স্বীকার করে নিয়েছে যে 'ভুলবশত'ই প্রার্থীদের নাম প্রকাশিত হয়েছে। সেই মতো তাই এবার তারা চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে। প্রথম ধাপের পর বাকি প্রার্থীদের নামও এরপর ঘোষণা করবে কমিশন।                            


এর আগে হাইকোর্টে সিবিআই দাবি করেছিল অনেকেই সাদা খাতা জমা দিলেও, SSC-র সার্ভারে কারও প্রাপ্ত নম্বর ৫০, কারও ৫২, কারও ৫৩। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে, ৯৫২ জন চাকরিপ্রাপকের একাংশের মামলাকারী জয়দীপ কর আদালতে সওয়াল করেন, যে ৯৫২টি OMR শিট নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটা আসল OMR শিট নয়। আদতে আসল OMR শিটের একটি প্রতিচ্ছবি। আইন অনুযায়ী কোনও আবেদনকারী বা কমিশনের তরফ থেকে কোনও ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে যে কোনও সময় সুপারিশ পত্র প্রত্যাহার করতে পারে কমিশন।