কলকাতা: নন্দিনী চক্রবর্তীকে (Nandini Chakraborty) অব্যাহতি দিল রাজভবন (Raj Bhavan)। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোসের ইচ্ছায় সরানো হল তাঁর প্রধান সচিবকে। তাঁর জায়গায়, নতুন কাউকে আনা হবে বলে সূত্রের খবর। ফের কি সংঘাতের পথে রাজভবন-রাজ্য সরকার? বাড়ছে জল্পনা রাজ্যপালের ইচ্ছেয় প্রধান সচিব পদে নন্দিনী চক্রবর্তীকে অব্যাহতি, খবর সূত্রের। রাজভবনের তরফে নবান্নকে বার্তা দিলেও এখনও জারি হয়নি নির্দেশিকা।


আর এই বিষয়েই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি এদিন বলেন, আস্তে আস্তে ট্র্যাকে ফিরছেন রাজ্যপাল, ভাল লক্ষণ, এদিন এমনটাই দাবি শুভেন্দুর। তিনি এও বলেন, আশাকরি ধনকড়দের দেখানো পথেই চলবেন। 


সি ভি আনন্দ বোস রাজ্যপাল হওয়ার পর থেকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের সম্পর্ক নতুন খাতে বইতে শুরু করে। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজ্যপালের বাংলায় হাতেখড়ি থেকে রাজ্যপালের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করা এনিয়ে বারবারই সরব হয়েছে বিজেপি। রাজ্যপালের হাতেখড়ির দিন, শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করে বলেন, রাজ্যপালের প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, যিনি রাজ্য সরকারের বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করছেন, তিনি কৌশলে রাজ্যপালের দফতরকে কাজে লাগিয়ে, মুখ্যমন্ত্রীর গোপন উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত করতে, তৎপর হয়েছেন।'               


আরও পড়ুন, হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম বিকৃতের অভিযোগ মমতার বিরুদ্ধে, পথে মতুয়ারা


এরপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে অসন্তোষের আবহ তৈরি হয় বঙ্গ বিজেপির অন্দরে।


এরই মধ্যে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি, লোকায়ুক্ত নিয়োগ-সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ জানান তিনি। প্রায় ২ ঘণ্টা বৈঠক হয় তাঁদের মধ্যে। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানিয়ে, রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তিনি। যেখানে মূলত নিয়োগ দুর্নীতির দিকে নজর দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। 


রাজ্য বিজেপির সভাপতি জানান, রাজ্যপাল বলেছেন সংবিধান মেনেই যাবতীয় বিষয় দেখবেন বলেছেন। বেশ কয়েকটি জায়গায় রাজনৈতিক হিংসার কথা দেখবেন, দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নেবেন। রাজনৈতিক হিংসাকে রাজ্যপাল অনভিপ্রেত বলেছেন। অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গনেশন লোকায়ুক্ত গঠন করেছেন, সংবিধান না মেনে, সেটা দেখবেন। যেহেতু উনি সবটা মিডিয়ায় আসতে চান না, তাই উনি সবটা আড়ালেই করছেন।