করুণাময়. সিংহ, মালদা : ট্যাব কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে মালদার তৃণমূল নেতার ছেলের। বৃহস্পতিবারই বৈষ্ণবনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। তাঁর সাইবার ক্যাফে থেকেই উদ্ধার হয়েছে একাধিক পেন ড্রাইভ, ল্যাপটপ। মিলেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের নামে রাবার স্ট্যাম্প। যদিও ছেলের ট্যাব কেলেঙ্কারি-যোগ অস্বীকার করেছেন শাসক-নেতা। প্রতারণা চক্রের নাগাল পেতে SIT গঠন করেছে মালদা জেলা পুলিশ। এবার সেই মালদা থেকেই গ্রেফতার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের মালিক। 


ট্যাব কেলেঙ্কারিতে বারবার বেরিয়ে আসছে উত্তরবঙ্গ যোগ। এবার মালদা থেকে গ্রেফতার করা হল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পদস্থ গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের কর্ণধারকে। বৃহস্পতিবারই তাঁকে গ্রেফতার করেছে  পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ। ধৃত সুব্রত বসাক বৈষ্ণবনগরের চকসেহেরদি গ্রামের বাসিন্দা। এই নিয়ে ট্যাবকাণ্ডে মালদা থেকে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬।


পুলিশ সূত্রে খবর, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের এজেন্টের বিরুদ্ধে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ধৃতের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নথি ও ল্যাপটপ। এর আগে চকসেহেরদি গ্রামের বাসিন্দা কম্পিউটার শিক্ষক রকি শেখ ও সাইবার ক্যাফের মালিক পিন্টু শেখকেও ট্যাব-প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের এজেন্ট, সাইবার ক্যাফের মালিকরা গ্রেফতার হওয়ায় তদন্তকারীরা নিশ্চিত, নেটওয়ার্ক তৈরি করেই ট্যাব-প্রতারণার কাজ চলত। 


পুলিশ সূত্রে খবর, ট্যাব-প্রতারণাকাণ্ডে মালদা জেলায় ৫টি FIR দায়ের হয়েছে। ফ্রিজ করা হয়েছে ১৮১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। প্রতারণা চক্রের নাগাল পেতে SIT গঠন করেছে মালদা জেলা পুলিশ। 


এরই মধ্যে ট্যাব কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে মালদার এক তৃণমূল নেতার ছেলের।  বৈষ্ণবনগর থেকে শ্রবণ সরকার নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ। ধৃতের বাবা কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের SC সেলের ব্লক সভাপতি এবং মা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি।  পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতার ছেলের একটি সাইবার কাফে রয়েছে।  সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে পেন ড্রাইভ, ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক ও তৃণমূল পরিচালিত কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের নামে রাবার স্ট্যাম্প।  যদিও ছেলের ট্যাব-প্রতারণা যোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা। জিতেন্দ্রনাথ সরকারের দাবি, ছেলে অতি সৎ। তার কাছে অর্থও নেই, কোনও ব্যাঙ্ক ব্যালান্সও নেই।  


আরও পড়ুন :


এক ছাত্রীর ট্যাবের টাকা গেল প্রাক্তন ছাত্রীর অ্যাকাউন্টে ! নাম এক হওয়াতেই এত বড় ভ্রান্তি?