বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে পদোন্নতি। এমনই অভিযোগ উঠল তমলুক (Tamluk) কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের নন্দীগ্রাম (Nandigram) শাখার ম্যানেজারের (Manager) বিরুদ্ধে। যিনি আবার স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতার স্ত্রী। ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 


কী অভিযোগ? 


গ্রুপ D পদে যোগ দেওয়ার...১০ বছরেই সমবায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। আর, রকেট গতিতে এই পদোন্নতি হয়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতার ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের নন্দীগ্রাম শাখার ম্যানেজার মহুয়া পালের বিরুদ্ধে।


তৃণমূলের অভিযোগ


যিনি এই অভিযোগ করছেন তিনি, কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের অন্যতম ডিরেক্টর ও মহিষাদলের তৃণমূল নেতা তরুণ মণ্ডল। ২০০২ সালে তমলুক কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের নন্দীগ্রাম শাখায় গ্রুপ D পদে যোগ দেন মহুয়া পাল। ২০১২ সালে ম্যানেজার হন। এই প্রেক্ষিতে কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের অন্যতম ডিরেক্টর তরুণ মণ্ডলের দাবি, পদোন্নতি পেতে অসৎ উপায় নিয়েছিলেন ম্যানেজার।


আরও পড়ুন, রাজ্য সরকারের স্কুলশিক্ষায় বিশেষজ্ঞ কমিটিতে ব্যাপক রদবদল, পুরনো কমিটি ভাঙলেন শিক্ষামন্ত্রী


কী জানাচ্ছেন অভিযুক্ত? 


যাঁর বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ...তিনি স্থানীয় বিজেপি নেতা মেঘনাদ পালের স্ত্রী। মেঘনাদ পাল একসময় নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন।  বিধানসভা ভোটের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।


বিজেপি নেতার দাবি, চণ্ডীপুরের যে সংস্থার থেকে স্ত্রীর শংসাপত্র মিলেছিল, সেটি ভুয়ো জানা ছিল না। গোটা বিষয়টি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন। এবিষয়ে অভিযুক্ত ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনও কিছু বলতে চাননি। এই ঘটনায় রাজনৈতিক অভিসন্ধী দেখছে গেরুয়া শিবির।


তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ সভাপতি পুলককান্তি গুড়িয়া বলেন, "রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই একাজ করা হচ্ছে, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিলেই এমন অভিযোগ।" অন্যদিকে, মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, "চোরের মায়ের বড় গলা, যারা চুরি করছে তারাই বড় বড় কথা বলছে।" এদিকে, এই বিষয়ে ১০ মে তমলুক কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান একটি বৈঠক ডেকেছেন বলে জানা গেছে।