নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই বিচারব্যবস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপ নিয়ে মুখ খুললেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা (CJI NV Ramana)। সরাসরি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে যদিও বিচারকার্যে নাক গলানোর অভিযোগ করেননি তিনি, কিন্তু তাঁর মতে, গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় শাসন, আইন এবং বিচার ব্যবস্থার মধ্যে ক্ষমতার পৃথকীকরণ করে দিয়েছে সংবিধানই। তাই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনও পক্ষেরই ‘লক্ষণরেখা’ অতিক্রম করা উচিত নয়।


মোদির সামনেই বিচারব্য়বস্থার স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল


শনিবার দিল্লির বিজ্ঞানভবনে প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিচারপতিদের নিয়ে বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন হয়েছিল। সেখানে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে একই মঞ্চে বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানবিচারপতি রমনা। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় শাসন, আইন এবং বিচার ব্যবস্থার মধ্যে ক্ষমতার পৃথকীকরণ করে দিয়েছে সংবিধানই। কর্তব্যপালনের ক্ষেত্রে সেই লক্ষণরেখা পার করা নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত প্রত্যেকেরই।”



আরও পড়ুন: Nobel Peace Prize: নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া উচিত মোদিকে, কলকাতায় এসে বললেন BSE প্রধান


বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিচার ব্যবস্থা রায় শুনিয়ে দিলেও ইচ্ছাকৃত ভাবে সরকার নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে বলেও অভিযোগ করেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মতে, সরকারের এই ভূমিকা গণতন্ত্রের স্বাস্থ্য জন্য সুখকর নয়। আজকাল জনস্বার্থ মামলাগুলি ব্যক্তিত স্বার্থ মামলা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  


জনস্বার্থ মামলা নিয়ে তোপ প্রধান বিচারপতির


শুধু তাই নয়, সরকারকে দেশের সবথেকে বড় ‘মামলাবাজ’ বলেও উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। তানি জানান, দেশের মোট মামলার ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে সরকার একটি পক্ষ হিসেবে বিরাজ করছে। সময় বিশেষে সরকারপ নিজের স্বার্থে এই সব মামলার গতিরোধ করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। কঠিন ইংরেজির বদলে এলাকা নির্বিশেষে স্থানীয় ভাষায় আইনি কাজকর্মের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। তাঁর এই দাবিকে সমর্থন করেন মোদিও।