দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল বিডিও অফিস চত্বর: ভাঙড়ে ( Bhangar ) শাসকের 'অপারেশন-মনোনয়ন'। আক্রান্ত এবিপি আনন্দ ( ABP Ananda ) । ছবি তুলতে বাধা। সাংবাদিকদের হুমকি। মনোনয়ন পর্বের পঞ্চম দিনেও অগ্নিগর্ভ ভাঙড়। মঙ্গলের ধুন্ধুমার কাণ্ডের পর, আজও দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল বিডিও অফিস চত্বর। সকাল ১১টায় মনোনয়ন শুরু হতে না হতেই আবার বোমার আওয়াজে কাঁপল ভাঙড় এক নম্বর বিডিও অফিস চত্বর। কোথায় ১৪৪ ধারা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় বিধিনিষেধকে হেলায় উড়িয়ে বাঁশ, লাঠি, গাছের ডাল হাতে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে হাজির তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। রুমালে মুখ ঢেকে ডান্ডা হাতে ISF-কে ঠান্ডা করতে রাস্তায় নেমেছেন তারা। মুখে মুখে ঘুরছে অ্যাকশনের কথা। প্রকাশ্যেই ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির পিঠের চামড়া তোলার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তাঁরা।


মনোনয়ন ঘিরে অশান্ত ক্যানিং: মনোনয়ন পর্বের পঞ্চম দিনেও উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং। মনোনয়ন জমা দিতে বেরিয়ে দুষ্কৃতী হামলার আশঙ্কায় রাস্তা অবরোধ তৃণমূলের। আর তা নিয়ে চড়ছে পারদ। ক্যানিং এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শৈবাল লাহিড়ির নেতৃত্বে আজ মনোনয়জন জমা কর্মসূচি রয়েছে শাসক শিবিরের। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অভিযোগ, তাঁদের যাওয়ার পথে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রচুর দুষ্কৃতী জড়ো হয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে তৃণমূল প্রার্থীদের ওপর হামলা চালাতে পারে তারা। এমনকি তাঁকে খুন করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। এই পরিস্থিতিতে ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে ক্যানিং হাসপাতাল মোড় অবরোধ করে রেখেছে তৃণমূলের হাজারখানেক কর্মী সমর্থক। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির দাবি, যতক্ষণ না বাসস্ট্যান্ড এলাকা দুষ্কৃতীমুক্ত করা হবে, ততক্ষণ অবরোধ থেকে সরবেন না তাঁরা। শাসকদলের বিক্ষোভের জেরে অবরুদ্ধ ক্যানিং-বারুইপুর ও ক্যানিং-হেড়োভাঙা রোড। 


সাতসকালে দুর্ঘটনা ধর্মতলায়:  শহরে ফের বেপরোয়া বাসচালকের দৌরাত্ম্য। একই রুটের দুটি বাসের রেষারেষি (Bus Accident)। তার জেরে সকাল সকাল ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায়।  প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে খবর, 205-A রুটের বাঁশদ্রোণী থেকে বাবুঘাটমুখী দুটি বাস নিজেদের মধ্যে রেষারেষি করছিল। একটি বাস রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। ডিভাইডার ভেঙে সোজা পাশের লেনে উঠে যায় বাসটি। শেষপর্যন্ত একটি গুমটিতে ধাক্কা মেরে তার ভিতরে ঢুকে যায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ। বাসচালক পলাতক। রেষারেষি করা আরেকটি বাসও পলাতক। 


দক্ষিণবঙ্গে কবে বর্ষা? জ্যৈষ্ঠ শেষের চার দিন আগেই বঙ্গে পা রেখেছে বর্ষা। উত্তরবঙ্গ দিয়ে বাংলায় ঢুকেছে বর্ষা। তবে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ কবে? তা এখনও জানায়নি আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই শুক্রবার পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি।  কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হলেও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহ চলবে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে শনিবার পর্যন্ত এরকমই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বজায় থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর,দক্ষিণবঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরম আর প্যাচপেচে ঘামে নাজেহাল হতে হবে আরও কয়েকটা দিন।


সোনার গয়না রং করার কারখানায় আগুন: বৌবাজারে কাক ভোরের আগুনে পুড়ে খাক সোনার গয়না রং করার কারখানা। আর সেই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হল তার গা লাগোয়া আরও ৩টি বাড়ি। মুচিপাড়া থানার ১১ নম্বর প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রিট শুধু খাতায় কলমেই বসত বাড়ি। আদতে এটি সোনার গয়না রং করার কারখানা। স্থানীয় সূত্রে খবর, কারখানার ভিতরে গয়না কাটার মেশিন থেকে দাহ্য রাসায়নিক, সব কিছুই ঠাসা ছিল। আজ ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ কারখানায় আগুন লাগে। এক মানুষ চওড়া ঘিঞ্জি গলি! স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০ বছর ধরে এখানেই বাড়ির আড়ালে চলছিল সোনার গয়না রং করার কারখানা। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সাত বছর আগেও একবার আগুন লেগেছিল ১১ নম্বর প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রিটের বাড়িতে। তারপর এলাকা থেকে কারখানা সরানোর চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। ঘিঞ্জি গলিতে বসত বাড়ির ভিতরে কীভাবে কারখানা চলছিল, সেই প্রশ্ন তুলে প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। যে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, তার পাশের পাড়াতেই থাকেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তিনি। 


আরও পড়ুন: Food Tips: পাতে কোন পেয়ারা? কাঁচা না কি পাকা? কোনটায় বেশি উপকার?