সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে (Bay Of Bengal) শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ (Depression)। শক্তিবৃদ্ধি করেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে সেটি। তবে এটি ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে প্রথমে অতি গভীর নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস। গভীর নিম্নচাপের গতিপ্রকৃতি দেখেই এই আশঙ্কা করা হচ্ছে। 


তবে আজ কলকাতায় বৃষ্টি হলেও তার পরিমাণ খুব বেশি নয়। সর্বাধিক ২০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়। তবে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে আজ ভারী এবং আগামীকাল অতিভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। গভীর নিম্নচাপ আপাতত পশ্চিমবঙ্গের দীঘা উপকূল থেকে ৪৬০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্র পৃষ্ঠে অবস্থিত। 


আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানান হয়েছে এর সম্ভাব্য ল্যান্ড ফল বাংলাদেশের খেপু পাড়া উপকূলে হতে চলেছে বলে এখনও পর্যন্ত উপগ্রহ চিত্রে প্রকাশিত হয়েছে। এও জানান হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের সময় এর সম্ভাব্য সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ থেকে ৫৫ কিলোমিটার হতে পারে। অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় হলেও তা খুব শক্তিশালী হবে না বলেই এখনও পর্যন্ত মনে করছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। 


হাওয়া অফিসের তরফে জানান হয়েছে, ১৮ তারিখ অর্থাৎ শনিবার খুব ভোরে এটির ল্যান্ড ফলের সম্ভাবনা আছে। এর জেরে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও লাগোয়া একাধিক জেলায় শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টি। সুন্দরবন লাগোয়া এলাকায় আজ বিকেল থেকে শনিবার বেলা পর্যন্ত ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া।             


আরও পড়ুন, অতি গভীর নিম্নচাপের জের, কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় আজ থেকেই প্রবল বৃষ্টি?


অন্যদিকে, নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে দুই ২৪ পরগনায়। ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও হাওড়া জেলায়। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমান। .


এদিন ইডেনে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল আছে। ম্যাচ চলাকালীন বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং মাঝে মাঝে ম্যাচে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।