কলকাতা: রবিবার ঝড়-বৃষ্টি দুর্যোগের পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনিবার রাত পর্যন্ত দাবদাহের পরিস্থিতি থাকলেও রবিবার সকাল হতেই আকাশের মুখ ভার। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় সকাল থেকেই কালো করে আসে আকাশ। কোথাও কোথাও ঝড়, মাঝারি বৃষ্টিও শুরু হয় সকাল থেকে। দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গেও বজ্রপাত শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া-বৃষ্টির মাঝে।
বজ্রপাতের জেরে একাধিক জেলায় মৃত্যুও হয়েছে। শুধু রবিবার নয়, সপ্তাহের শুরুতে অর্থাৎ সোমবারও বজ্রপাতের আগাম পূর্বাভাস ও কালবৈশাখীর কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে জেলায় জেলায়।
প্রবল বজ্রপাতের সময় কী কী করবেন, কী কী করবেন না তা দেখে নিন-
- ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা বা উঁচু স্থানে থাকা যাবে না। সবচেয়ে ভালো হয় কোনও শেডের নিচে আশ্রয় নিতে পারলে।
- কোথাও বজ্রপাত হলে উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এসব স্থানে আশ্রয় নেবেন না।
- বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভিতর থাকুন।
- বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।
- বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব যন্ত্রপাতি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও ধরবেন না। বজ্রপাতের পূর্বাভাস পেলে আগেই এগুলোর প্লাগ খুলে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করুন।
- বজ্রপাতের সময় আপনি যদি সুইমিং পুল, কিংবা পুকুরে সাঁতার কাটেন বা জলাবদ্ধ স্থানে থাকেন তাহলে সেখান থেকে উঠে যান। কারণ জল অত্যন্ত ভাল বিদ্যুৎ পরিবাহী।
- বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতো বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। এ সময় বিদ্যুৎ অপরিবাহী রবারের জুতা সবচেয়ে নিরাপদ।
- আপনার বাড়িকে বজ্রপাত থেকে নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। এজন্য আর্থিং সংযুক্ত রড বাড়িতে স্থাপন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ নিতে হবে। ভুলভাবে স্থাপিত রড বজ্রপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
বাজ পড়ে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তবে রাস্তায় থাকাকালীন এমন পরিস্থিতি সামনে পড়লে কী ভাবে সুরক্ষিত থাকবেন, এই উপায়গুলি দেখে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন, দক্ষিণবঙ্গের আকাশে দুর্যোগের মেঘ, ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাতের কমলা সতর্কতা জারি
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে