অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : শীতের শুরুতে বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। সুমাত্রা উপকূল সংলগ্ন ভারত মহাসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। যা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে। আর তারপর তা কোনদিকে এগোবে , কোথায় সবথেকে বড় অভিঘাত আনবে, তাই এখন এ রাজ্যের মানুষের চিন্তার কারণ।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। তার থেকে তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ। তারপর এর অভিমুখ থাকবে তামিলনাড়ু বা
শ্রীলঙ্কা উপকূল। ফলে আপাতত আবহবিদদের আশঙ্কা, পশ্চিমবঙ্গ নয় , অন্য পথেই এগোবে নিম্নচাপ। ফলে এরপর যদি তা কোনও ঝড়ের জন্ম দেয়ও, তা এসে আছড়ে পড়বে না বঙ্গের উপকূলে।
কিছুদিন আগেই রুদ্ররূপ দেখিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় দানা। দানার ল্যান্ডফল ওড়িশায় হয়েছিল। তার প্রভাব পড়েছিল বঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলিতে। সুন্দর বনাঞ্চল থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকত, তছনছ হয়েছিল। তাই আবারও একটা ঘূর্ণিঝড়ের কথা শুনেই সেখানকার মানুষজনের মনে প্রশ্ন, আবারও ঝড়ের তাণ্ডব? বড় ক্ষতি হবে না তো ?
ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামানসাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। রবিবার ও সোমবার দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকাতেও মৎস্যজীবীদের যেতে বারণ করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পর্যটকদের আবহাওয়ার সতর্কবার্তা দেখে নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
তবে এখনও অবধি আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস যা বলছে , তা সেই সম্ভাবনা নেই। বাংলায় এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। রাজ্যে শীতের আমেজ অব্যাহত রয়েছে । শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকবে এখন রোজই। বেলা বাড়লে আকাশ পরিষ্কার হবে।
উত্তরবঙ্গে কুয়াশার চাদর থাকবে দার্জিলিং ও দুই দিনাজপুরে। এর মধ্যেই সান্দাকফু-তে মরশুমের প্রথম তুষারপাত শুরু হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে, হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। নতুন করে তাপমাত্রা নামার সম্ভাবনা এখন কম। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে বিক্ষিপ্তভাবে প্রায় সব জেলাতেই।
আরও পড়ুন :
শীতের মুখে ফের সাইক্লোনে উথালপাথাল বাংলা? কোন পথে এগোতে পারে ঘূর্ণিঝড় ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।