ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে সকাল পেরোলেই রোদের তাপে বাইরে বেরোনো দায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মাঝে বৃষ্টি হলেও লাফিয়ে বেড়েছে আর্দ্রতা (Humidity)। চড়েছে পারদও। বলাইবাহুল্য মার্চের (March) শেষে অস্বস্তি অনেকটাই বেড়েছে।আজও শহরের তাপমাত্রা (Temparature) খুব একটা কম নয়। ঠিক এমনই সময়েই তাপপ্রবাহ নিয়ে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের (Weather Office)। সঙ্গে স্বস্তির খবরও দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আগামীকাল থেকেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ শুরু হবে। পশ্চিমের পাঁচ জেলা থেকে সমস্ত দক্ষিণবঙ্গে ছড়াবে এই তাপপ্রবাহ। ৬ তারিখ বা শনিবার থেকে কলকাতাতেও তাপপ্রবাহের আশঙ্কা আছে। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওপরে থাকতে পারে বেশ কয়েকটি জেলায়। ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রিতে চলে যেতে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলার তাপমাত্রা। আজ পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু এলাকায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা।
বেশ কিছু এলাকায় লু- বইবার সম্ভাবনা
বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের অন্তত ছয় জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। পুরুলিয়া বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। শুক্র ও শনিবার দক্ষিণবঙ্গের নয় জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ,উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। বেশ কিছু এলাকায় লু- বইবার সম্ভাবনা।
সপ্তাহান্তে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা
যদিও এরই মধ্যে কিছুটা স্বস্তি মিলবে। শনিবার বিকেল বা সন্ধ্যায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে ছয় জেলায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায় শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা।তবে উত্তরবঙ্গে রোজ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হওয়া ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুরে। বৃষ্টি বাড়বে শনিবার।
আরও পড়ুন, বিধাননগরের বেআইনি আবাসনে অবিলম্বে জল-বিদ্যুৎ বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর এপ্রিল মাস পড়লেই দাবদাহ শুরু হয়। তবে কমবেশি কালবৈশাখীও স্বস্তি ফেরায় কখনও কখনও। তারপর ক্রমশ আর্দ্রতা চরমে উঠতে থাকে। অস্বস্তি বাড়ে। যদিও কিছু দিন আগেই মৌসম ভবন জানিয়েছিল যে, অন্তত মে মাস অবধি কম বেশি বৃষ্টি চলবে। ভরসা এখন সেই পূর্বাভাসই।