কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় রেমাল বিদায় নিলেও, জলীয়বাস্প থেকে রেহাই মেলেনি। যার জেরে আপেক্ষিক আর্দ্রতা চরমে দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)। সারাদিন গুমোট ভাব, তীব্র অস্বস্তি কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা না মিললেও, সুখবর আছে উত্তরবঙ্গের জন্য। ঠিক এই সময়েই উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (Heavy Rain Forecast in North Bengal)। 


রাজ্যের এই জেলাগুলিতে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা


মূলত, ঘূর্ণিঝড় রেমাল চলে যাওয়ার পরই একধাক্কায় ৪-৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গের।আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, কলকাতায় বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩০ ছুঁইছুঁই, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি, এই তিন জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জলপাইগুড়িতে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। শনিবার ভোটের দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যজুড়ে। 


আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৫ তারিখ অবধি হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা


হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আগামীকাল ৩০ মে থেকে আগামী ৭ দিন অর্থাৎ জুন মাসের ৫ তারিখ অবধি হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামীকাল শুধু বৃষ্টিই নয়, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে । যার গতিবেগ থাকবে প্রায় ২৫ কিমি থেকে ৩৫ কিমি প্রতি ঘণ্টায়।


আরও পড়ুন, OBC সার্টিফিকেট বাতিল ইস্যু : সংবিধান বিরোধী কাজ, TMC-কে তুলোধনা মোদির


মূলত ঝড়ের তাণ্ডবে তছনছ কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের নাককাটিগাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত ৩০টিরও বেশি বাড়ি। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ও গাছ পড়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে তুফানগঞ্জ-বালাভূত রাজ্য সড়ক।ঝড়ের দিন রাত ২টো নাগাদ তুফানগঞ্জের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়।সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি। বাড়ির ওপর ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি, বড় গাছ। কোথাও টিনের ছাউনি উড়ে যায়। নাককাটিগাছ এলাকা বিস্তীর্ণ অংশ বিদ্যুৎহীন। প্রশাসনের দেখা মেলেনি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। শিলিগুড়িতেও ঝড়ের তাণ্ডবে কলেজ পাড়া, হাকিম পাড়া, সেবক রোডের বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে রাস্তার ওপর পড়ে। জলমগ্ন হয়ে পড়ে শিলিগুড়ি শহরের কয়েকটি জায়গা। অন্যদিকে, সিকিম পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির ফলে জলপাইগুড়ির মালে তিস্তার জলস্তর বেড়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।