সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : প্রবল গরমের মধ্যেই জোড়া ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) ভ্রুকুটি। আবহাওয়া মডেল অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগর ও আরবসাগরে জুন মাসের ৮-১০ তারিখের মধ্যে দুটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের অভিমুখ হতে পারে মায়ানমার ও বাংলাদেশ উপকূল। পাশাপাশি, আরব সাগরে তৈরি হয়ে মহারাষ্ট্র ও গুজরাত উপকূলের দিকে এগোতে পারে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়। তেজ নামে এই ঘূর্ণিঝড় ভারত নাকি পাকিস্তান উপকূলে আছড়ে পড়বে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ভারতীয় মৌসম ভবন এখনও ঘূর্ণিঝড়ের কোনও পূর্বাভাস দেয়নি।
এদিকে, আজ ও কাল রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা (Heatwave Predicted)। ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছে। কার্যত আগুন গরমে পুড়ছে বাংলা। এই মুহূর্তে পূর্ব মধ্যপ্রদেশে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। তার জেরে রাজ্যে ঢুকছে উত্তর-পশ্চিমের শুকনো, গরম হাওয়া। আগামী ৪-৫ দিন কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গেই গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা কার্যত শূন্য। উত্তরবঙ্গেও তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী দু'দিনে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে সতর্কতা রয়েছে। মুর্শিদাবাদ-নদিয়াতেও তাপপ্রবাহের সতর্কতা। মালদা-দক্ষিণ দিনাজপুরেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেই আশঙ্কা। পাশাপাশি কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে যেতে পারে ৪০ ডিগ্রির আশপাশে। গোটা রাজ্যজুড়েই গরমের অস্বস্তি ফের সঙ্গী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন- চাকরি-বিক্রির বৈঠক হত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসেই, রিমান্ড লেটারে বিস্ফোরক দাবি ইডি-র
এদিকে, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বছর বর্ষার আগমন ঘটবে সময়েই। স্বাভাবিক এবং স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬৭ শতাংশ। আবহাওয়া দফতরের এই ঘোষণায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন কৃষিজীবী মানুষেরা। বৃষ্টির উপরই কৃষিকার্য নির্ভর করে মূলত। তাই বর্ষার আগমনে কোনও হেরফের ঘটছে না বলে জানতে পেরে, নিশ্চিন্ত বোধ করছেন। ভূূবিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব এম রবিচন্দ্রণ সম্প্রতি জানান, "এ বছর স্বাভাবিক বৃষ্টি দেখবে গোটা দেশ। নির্ধারিত সময় মেনে জুন থেকে সেপ্টম্বরের মধ্যেই থাকবে বর্ষার মেয়াদ।" যদিও একদিন আগেই, একটি বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা 'স্কাইমেট' জানায়, চলতি বছরে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বর্ষার প্রভাব তুলনামূলক কম থাকবে।
আরও পড়ুন:ত্বকের যত্নে বছরভর কোন কোন প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন?