হিন্দোল দে, কলকাতা : উত্তরবঙ্গে আজ থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আজ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরের দুই জেলা, দার্জিলিং ও কালিম্পঙে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গে গতকালের তুলনায় আজ সামান্য নামল তাপমাত্রা। কলকাতায় ফের ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে পারদ। রবিবার থেকে আরও কমবে তাপমাত্রা। মঙ্গলবারের মধ্যে আরও ২ ডিগ্রি নামতে পারে পারদ। আগামী সপ্তাহ থেকে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় বাড়বে কুয়াশার প্রকোপ। 

Continues below advertisement

আগামী কয়েকদিন এবং পরের সপ্তাহে কেমন থাকবে আবহাওয়া 

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং দক্ষিণবঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। আপাতত কলকাতায় তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে রয়েছে। তবে রবিবার থেকে তাপমাত্রা কমবে দক্ষিণবঙ্গে এবং মঙ্গলবার পর্যন্ত সেই আবহাওয়াই বজায় থাকবে। মঙ্গলবারের মধ্যে ২ ডিগির তাপমাত্রা নামতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এর পাশাপাশি আগামী সপ্তাহ থেকে বাড়বে কুয়াশার দাপটও। অর্থাৎ দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিন নামবে পারদ, কুয়াশা থাকবে রাজ্যের প্রায় সব জেলায়। তাই ঠান্ডার আমেজ কিছুটা পাওয়া যাবে। আগে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তবে এখন তাপমাত্রা কমেছে। ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি আছে। আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও কমবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এমনই থাকবে আবহাওয়া।                          

Continues below advertisement

অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ। এর প্রভাবে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর প্রভাব কলকাতা কিংবা দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় পড়বে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কিন্তু আগামী কয়েকদিন গরম থেকে মিলবে কিছুটা নিষ্কৃতি। শীতের আমেজ অনুভব করবেন দক্ষিণবঙ্গবাসী। এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া দফতর। 

মরশুম পরিবর্তনের এই সময়ে সর্দি, কাশি, জ্বর হচ্ছে ঘরে ঘরে। শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই সাবধানে থাকুন। সতর্ক থাকা জরুরি বাচ্চাদের মা-বাবাদেরও। কারণ এই সিজন চেঞ্জের সময় বাচ্চাদের সহজে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। বাড়াবাড়ি হলে শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করুন। কোনওভাবেই ঠান্ডা হাওয়া লাগাবেন না। শরীর খারাপ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অবহেলা করলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই অল্পেতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।