কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাজুড়ে মুষলধারে বৃষ্টি। উত্তর ওড়িশা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর তৈরি ঘূর্ণাবর্ত। টানা পাঁচদিন জেলায় জেলায় জারি হল সতর্কতা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার অশনি সংকেত বাংলায়।
শুক্রবার পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে মৎস্যজীবীদের জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এর প্রভাবে আজ দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হবে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। সপ্তাহভর কম-বেশি প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টি চলবে। কাল থেকে উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ-কাল দক্ষিণবঙ্গজুড়ে দুর্যোগ। এদিকে দফায় দফায় বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার বিভিন্ন এলাকা। জলমগ্ন বালিগঞ্জ, যাদবপুর, দেশপ্রিয় পার্ক। ইএম বাইপাসের বিভিন্ন জায়গাতেও জল জমে রয়েছে। শুক্রবারও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। কাল ভারী-অতিভারী বৃষ্টি হবে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে। কাল ভারী বৃষ্টি হবে দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে। কাল কলকাতায় বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে বলেই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি জেলায় কিছু অংশে হালকা থেকে মাঝারি বজ্রপাতের সঙ্গে তীব্র বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস। দমকা বাতাস ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতায়। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত চলবে নাগাড়ে বৃষ্টি। রাজ্যের আরও দুই জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপরের বায়ুমণ্ডলে (সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫.৮ কিমি উচ্চতায়) একটি ঘূর্ণাবর্ত উত্তর ওড়িশা ও সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর অবস্থান করছে। মৌসুমি অক্ষরেখাটি বর্তমানে জয়সলমেঢ়, কোটা, দাতিয়া, সিদ্ধি, রাঁচি, বাঁকুড়া, দীঘা হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে বিস্তৃত এবং তা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১.৫ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত প্রসারিত।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও প্রবল দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে। ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গের সব নদীর জলস্তর বাড়বে। তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা নদীতে জলস্তর বাড়বে। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।