সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : পুর-নিয়োগ দুর্নীতির (Municipality Recruitment Scam) অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য। কিছুদিন আগেই পুর-নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়েছিল 'পুর-নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগেও তদন্ত করতে পারবে সিবিআই, চাইলে এফআইআর দায়ের করতে পারবে'। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য। যে ইস্যুতে আজই শুনানির সম্ভাবনা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India)।


এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশে পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই (CBI)। অয়ন শীল ও অন্যান্যদের নামে এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দিনকয়েক আগেই কলকাতা হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ দিয়েছিলেন, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে পারবে সিবিআই।  প্রয়োজন মনে করলে নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। অয়ন শীলের বাড়ি থেকে যে নথি উদ্ধার করেছে ইডি তার সূত্র ধরে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই (CBI)। 


প্রসঙ্গত, পুরসভায় নিয়োগেও যে দুর্নীতির জাল ছড়িয়েছিল, সেই তথ্য প্রথম উঠে আসে, প্রোমোটার অয়ন শীলের অফিসে ইডি তল্লাশিতে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) সূত্রে খবর, অয়ন শীলের অফিস থেকে উদ্ধার হয় অন্তত ৬০টি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি ও চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা। অফিসের ড্রয়ার থেকে উদ্ধার হয় ৪০০টি OMR শিট। যার মধ্যে অনেকগুলি OMR শিট ফাঁকা ছিল। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করার পর, অয়ন শীলের অফিসকে ডেটা মাইন বা তথ্যের খনি বলেও উল্লেখ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।


সেই প্রেক্ষাপটে সিবিআইকে পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তের অনুমতি দিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেন, অয়ন শীলের বাড়ি থেকে যে নথি উদ্ধার করেছে ED, সেই সূত্র ধরে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। ২৮শে এপ্রিল তাদের প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করতে হবে। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন সিবিআইকে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। যে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য।


ইডি সূত্রে দাবি, বিভিন্ন পুরসভা থেকে অয়ন শীল একাই ৪০ কোটি টাকা তুলেছিলেন। যদিও সূত্রের দাবি, ইডির জেরায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীল দাবি করেছেন, তিনি ২০ থেকে ২৫% কমিশন পেয়েছেন। বাকি ৭৫-৮০% টাকা চলে যেত নির্দিষ্ট পুরসভার প্রভাবশালীদের কাছে।


আরও পড়ুন- অয়ন শীলের পাহাড়-প্রমাণ সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি !