মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল): দুটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধরা পড়ল এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী। উদ্ধার হয়েছে ৭ রাউন্ড কার্তুজসহ পিস্তল, পাইপগান ও ভোজালি। ঘটনাটি অন্ডাল থানার নবকাজোড়া এলাকার। ধৃত দুষ্কৃতীর নাম ধীরজ সিং। বুধবার রাত্রি দশটা নাগাদ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাজোরা পঞ্চায়েতের নবকাজোরা এলাকায় অভিযান চালায় অন্ডাল থানার পুলিশ। অভিযানে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ধীরজ সিং নামে ওই কুখ্যাত দুষ্কৃতী। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি পাইপগান, একটি পিস্তল ও একটি ধারালো ভোজালি সহ পাইপগানের তিনটি ও পিস্তলের চারটি কার্তুজ। ধৃত ধীরজ সিংকে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। উল্লেখ্য বেশ কিছুদিন আগে অবৈধ কয়লা কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে কাজোরা এলাকা থেকে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল রণবীর সিং নামে এক দুষ্কৃতী। ধৃত ধীরজ তারই সাগরেদ বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।


অন্যদিকে মঙ্গলবার রাত। ঘড়ির কাঁটায় প্রায় ১১টা। আচমকা পরপর গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর সুভাষপল্লি। রীতিমতো ঘাবড়ে যান এলাকার মানুষ। এলাকার এক মিষ্টি ব্যবসায়ীর বাড়ি লক্ষ্য করে শুরু হয় এলোপাথাড়ি গুলি-বর্ষণ। পরিবারের দাবি, হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভাঙে। প্রথমে কী ঘটছে বুঝে উঠতে পারেননি তাঁরা। তারপর দেখেন, বাড়ির পিছনের দিকের জানালা লক্ষ্য করে ধেয়ে আসছে একের পর এক গুলি। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে।  যদিও, কেউ গুলিবিদ্ধ হননি।


পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যবসায়ীর বাড়ি লক্ষ্য করে মোট ৪ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে গুলির খোল। কিন্তু গুলির নেপথ্য কী কারণ? ব্যবসায়িক শত্রুতা? না কি অন্য কোনও কারণ? বনগাঁ পুরসভার প্রশাসক গোপাল শেঠ বলেন, “বনগাঁ পুলিশ সুপার ওআইসি কে জানানো হয়েছে । এই ধরনের গুলি চালানোর ঘটনায় কাম্য নয় । যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিত পুলিশ প্রশাসনকে আবেদন জানিয়েছে । ঘটনার তদন্ত করে দেখছে বনগাঁ থানার পুলিশ।’’ স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি ব্যবসায়ীর বড় ছেলের বিয়ে নিয়ে কিছু অশান্তি হয়। তার জেরে গুলি নয়তো? সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।