কৌশিক গাঁতাইত, সালানপুর: নদীতে ডুবতে থাকা বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হল একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রের। ঘটনাটি ঘটেছে সালানপুর থানার বরাকর নদীর বৃন্দাবন ঘাটে। 


পুলিশ জানিয়েছে, রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দা ছয় কিশোর আজ মাইথন সংলগ্ন বৃন্দাবন ঘাটে ঘুরতে যায়। সেখানে নদীতে স্নান করতে নামে সৌভিক নামে এক কিশোর। 


সে ডুবে যাচ্ছে দেখে তাকে বাঁচাতে জলে নেমে পড়ে যশরাজ তেওয়ারি ও আরও এক বন্ধু। তিনজনেই ক্রমে তলিয়ে যেতে থাকলে সেখানে উপস্থিত গ্রামবাসীরা উদ্ধারে নেমে পড়ে। 


তিনজনকেই উদ্ধার করা হয়। কিন্তু, যশরাজকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।


এর আগে, স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন, আর্থাৎ ১৪ অগাস্ট, দামোদরে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে যান বোলপুর কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র বিশাল দাস। 


মাসির ছেলের সঙ্গে শনিবার দুপুরে দুর্গাপুর ব্যারেজে দামোদরের বর্ধমান ক্যানেলে স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে যান বছর ঊনিশের বিশাল। 


গত ১৩ তারিখ বসিরহাটের স্বরূপনগরে ইছামতীর খাল থেকে উদ্ধার হয় আইটিআই পড়ুয়ার দেহ। অন্যত্র খুন করে দেহ এখানে ফেলা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করে পুলিশ। 


পরিবারের দাবি, গতকাল সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিলেন উৎপল বিশ্বাস নামে ওই যুবক। মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। এদিন স্বরূপনগরের তেঁতুলিয়ায় ইছামতীর খাল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। 


পুলিশ সূত্রে খবর, চোয়ালে আঘাতের চিহ্ন ছিল। কীভাবে মৃত্যু খতিয়ে দেখছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ। 


তার আগের দিন, অর্থাৎ ১২ তারিখ খয়রাশোলের লোকপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক গাছে ধাক্কা মারলে মৃত্যু হয় দুই স্কুল পড়ুয়ার। আহত হয় তাদের আরও এক সঙ্গী। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, ওইদিন সকাল ৯টা নাগাদ কোচিং সেন্টার থেকে বাইকে চড়ে ফিরছিল বছর পনেরোর তিন স্কুল পড়ুয়া। লোকপুরের বারাবন জঙ্গলের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মারে বাইক। পুলিশ জানিয়েছে, কারও মাথায় হেলমেট ছিল না।