মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: প্রায় ৪ বছর পলাতক থাকার পরে কুখ্যাত লোহা মাফিয়া গোপাল জয়সওয়ালকে গ্রেফতার করল দুর্গাপুর থানার পুলিশ। তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় শনিবার। আদালত ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
দুর্গাপুরের বিধাননগরের বাসিন্দা গোপাল জয়সওয়াল কুখ্যাত লোহা মাফিয়া বলে পরিচিত। দীর্ঘদিন যাবৎ একাধিক বন্ধ কারখানাসহ বিভিন্ন জায়গায় ধাতব লোহার নির্মিত বস্তু চুরি হচ্ছিল দুর্গাপুর-আসানসোল এলাকায়।
অভিযোগ, এই চুরির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল গোপাল। দাবি, চুরি করা বস্তু গোপালের কাদারোড এলাকার লোহার কাঁটায় জমা হতো। সেখান থেকেই লোহা ও ধাতব বস্তু চলে যেত বিভিন্ন জায়গায়।
পুলিশের দাবি, চোরাই লোহা ও বিভিন্ন ধাতব বস্তুর এই অবৈধ কারবারের জন্য একটি "সিন্ডিকেট" তৈরি করেছিল গোপাল জয়সওয়াল। ২০১৭-১৮ সালে দুর্গাপুরের ডিটিপিএস ফাঁড়িতে গোপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা হলে পুলিশ গত চার বছর ধরে তার খোঁজ চালাচ্ছিল।
এতদিনে তার খোঁজ পেল পুলিশ। গোপালের বিরুদ্ধে অন্ডাল, কোকওভেন থানাতেও অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে। যদিও আজ আদালতে তোলার সময় গোপাল নিজেকে নির্দোষ বলে জানায়।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি(পুর্ব) অভিষেক গুপ্তা জানান, গোপাল জয়সওয়াল এর বিরুদ্ধে পুরানো মামলা ছিল। তাকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে লোহার কালো কারবারের সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে বলে অনুমান পুলিশের।
এর আগে, আজ থেকে ঠিক ৯ আগে, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে দুর্গাপুরের বিভিন্ন রাষ্ট্রয়ত্ত ও বেসরকারি বন্ধ কারখানার যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় লোহা মাফিয়া রাজা গুন ওরফে সুদীপ্ত গুনকে৷
তার ঠিক ২ মাস আগে, দুর্গাপুর কোকওভেন থানা এলাকার শিল্পতালুক থেকে ১৫ মেট্রিকটন টিএমটি বার বোঝাই লরি ছিনতাই করার অভিযোগে রাণিগঞ্জ থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ পুলিশের দাবি করেছিল, ধৃতরা কুখ্যাত লোহা মাফিয়া এবং তাদের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য লোহা মাফিয়া চক্রেরও যোগাযোগ ছিল৷
আরও পড়ুন: 'নেই আর সুদিন', ধুঁকছে শিল্পনগরী দুর্গাপুর, বিশ্বকর্মা পুজোয় চারিদিক শুনশান
আরও পড়ুন: রাজ্যে ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান বেড়েছে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়