পানাগড়: “দেশে যখন কর্মসংস্থান সঙ্কুচিত হচ্ছে, সেখানে রাজ্যে ৪০% কর্মসংস্থান বেড়েছে। এমনকী করোনা পরিস্থিতিতেও ৪০ শতাংশ দারিদ্রতা কমেছে।’’ দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একটি কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পানাগড়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই এই দাবি করেন।


এদিন তিনি বলেন, "ভাঙা চাল কিনে ইথানল তৈরিতে কাজে লাগানো হবে। ইথানল প্রোডাকশন প্রোমোশন পলিসি চালু হবে। এক বছরে দেড় হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৪৮ হাজার মানুষের।'' একইসঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যে ডেটা সেন্টার ইন্ডাস্ট্রি ঘোষণা করা হবে। আগামী ৫ বছরে ৪০০ মেগাওয়াটের ডেটাসেন্টার তৈরি হবে। গত ৫ বছরে ১৩ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। তার অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়েছে। পাশাপাশি অন্ডাল বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত করা হবে। উৎকর্ষ বাংলায় ৬ লক্ষ ছেলেমেয়েকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থান করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সব সমস্যার দ্রুত সমস্যার জন্য হাই পাওয়ার্ড কমিটি তৈরি করা হয়েছে। মাসে অন্তত একবার বৈঠকে বসে সমস্যার সমাধান করা হবে।


আরও পড়ুন: নিয়োগ হলেও পাননি বেতন, কাজ থেকে বিতাড়িত কর্মীরা, বনগাঁ হাসপাতালে শুরু আন্দোলন


২০০৯ সালে, পনেরশো একর জমির ওপর তৈরি হয় পানাগড় শিল্পতালুক। প্রথম দিকে বেশ কয়েকটি কারখানা তৈরি হলেও, মাঝে কয়েকবছর নতুন কোনও কারখানা আসেনি। সম্প্রতি তৈরি হচ্ছে একটি পলিফিল্ম কারখানা। এদিন তারই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কর্মসূচিতে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "সামাজিক প্রকল্পের পর নতুন লক্ষ্য শিল্প। বাংলায় খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা বিনামূল্যে পাওয়া যায়। পরবর্তী শিল্প লক্ষ্য দেউচা পাচামি দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি। প্রথম পর্যায়ের জমি সরকারের হাতে আছে’
দ্বিতীয় পর্যায়ে সব পুনর্বাসনের সব ব্যবস্থা করা হবে। ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে, লক্ষাধিক কর্মসংস্থান হবে। শীঘ্রই তাজপুর বন্দর চালু হবে। সেখানেও বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান হবে।'' 


আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার নতুন বিজ্ঞপ্তির দাবি, স্মারকলিপি জমা দেওয়ার আগেই গ্রেফতার আন্দোলনকারীরা