মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর (পশ্চিম বর্ধমান) : শান বাঁধানো সাদা উঠোন জুড়ে ছড়িয়ে কয়লার গুঁড়ো আর ছাই। সেই দূষণে (pollution) মুখ ঢেকেছে বাগানের গাছের পাতা। এলাকাবাসীর (locals) অভিযোগ, দূষণের জেরে এবার আমগাছে মুকুল পর্যন্ত আসেনি। দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড (durgapur project limited) বা ডিপিএল (DPL) তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মারাত্মক হারে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে  সরব হয়েছেন দুর্গাপুরের (durgapur) ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশ।


স্থানীয়দের অভিযোগ


স্থানীয়দের কথায়, ডিপিএল-এর কালি আমাদের আর সহ্য হচ্ছে না। বাচ্চারা বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। নিজেরা কথা বলতে পারছি না। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। হয় এটা তুলে দিক, নইলে আমাদের পুনর্বাসন করুক। তাদের আরও অভিযোগ, আমরা রাস্তা অবরোধ করব। কারখানার গেট ভাঙব। বাঁচতে হবে তো। আগে কারখানা না আগে মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়ে তাদের বক্তব্য, 'এগুলো আমরা খাবার খাচ্ছি? নাকি কয়লাগুঁড়ি খাচ্ছি? দিদিকে বলছি আমরা, দিদিকে।'


দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড ঘিরে বিক্ষোভ


রাজ্য সরকারি সংস্থা ডিপিএল (DPL)। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যেখানে কয়লা ভাঙার ক্রাশার রয়েছে, তার সীমানা পাঁচিলের পেছনেই রয়েছে দুর্গাপুর পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের জনবসতি এলাকা। পেয়ালা, ওয়ারিয়া, পলাশডিহার বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উড়ে আসা ছাই আর কয়লার গুঁড়োর জ্বালায় জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে তাঁদের।


এই পরিস্থিতিতে হয় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থানান্তর, নইলে পুনর্বাসনের দাবি তুলে সোচ্চার হয়েছেন স্থানীয়দের একাংশ। স্থানীয়দের কথায়, 'যেটা আমরা খাচ্ছি, সেই খাবারের সঙ্গেও যাচ্ছে। না চাকরি, না ফ্রিতে বিদ্যুৎ, কিছুই পাইনি আমরা ডিপিএল-এর কালিটা খাব কেন?'


এলাকার কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে গেলে, তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। দুর্গাপুর পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মানস রায় বলেছেন, 'দীর্ঘদিনের সমস্যা। এলাকাবাসীর দাবি ন্যায্য। ডিপিএলের বিষাক্ত ছাই খাচ্ছে এরা খাবারের সঙ্গে। স্থায়ী সমাধানের জন্য আমি আজ থেকেই পথে নামব।'



ডিপিএল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য


ডিপিএল-এর ছাই থেকে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষের 'সাফাই', 'লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।'কোন পথে মিলবে সমাধান? সেটাই দেখার। 


আরও পড়ুন- আলিয়ার উপাচার্যকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি, খুনের হুমকি টিএমসিপি-র প্রাক্তন ছাত্র নেতার!