মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: দলের এক শ্রেণীর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও দাদাগিরির অভিযোগ ওঠে প্রায়শই, সরাসরি নিচু তলার কর্মী সমর্থকদের থেকে সেই অভিযোগ পেতে হোয়াটস্যাপ নম্বর চালু করল পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের এক শ্রেণীর নেতৃত্বে র বিরুদ্ধে তোলাবাজি  ও দাদা গিরি র অভিযোগ ওঠে প্রায়শই, সরাসরি নিচু তলার কর্মী সমর্থকদের থেকে সেই অভিযোগ পেতে হোয়াটস্যাপ চালু করল পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। আশ্বাস অভিযোগ পেলেই ব্যাবস্থা নেওয়া হবে, যদিও পাল্টা সমালোচনা করতে ছাড়েনি বিজেপি ও সিপিআইএম। সদ্য জেলার বিভিন্ন পদে নেতৃত্ব বদল হয়েছে তৃণমূলের। শনিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর এর সৃজনি হলে জেলার এক কর্মী সভায় মন্ত্রী মলয় ঘটক ও নব্য জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায় জানান এবার থেকে কোনও অভিযোগ কারও থাকলে ওই ২/৩ টি নম্বরে তা জানাতে হবে। কোনও কারখানায় তৃণমূলের একাধিক শ্রমিক সংগঠন থাকা চলবে না। গোষ্ঠীবাজি একদম দল বরদাস্ত করবে না, পাশাপাশি আগামী দিনে আসানসোল ও দুর্গাপুর পুরসভা ভোটের জন্য এখন থেকে দল কে তৈরি থাকতে হবে বলেও জানান হয়। অন্যদিকে সামগ্রিক বিষয়টি নিয়ে ই পাল্টা সমালোচনা করেছে জেলার বিজেপি ও সিপিআইএম নেতৃত্ব।


আইনমন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা মলয় ঘটক বলেন, 'কারখানায় ট্রেড ইউনিয়নে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। সেদিকেই নজর দেওয়া হচ্ছে।' পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিধান উপাধ্যায় বলেন, 'সবাইকে হোয়াটস্যাপ নম্বর দেওয়া হবে, কোনও অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, দল আর রেয়াত করবে না।'


 পুরো বিষয়টিকে সমালোচনা করে কটাক্ষের সুরে পশ্চিম বর্ধমানের বিজপি সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, 'ভোটের আগে দিদিকে বলোতে জানিয়েও লাভ হয়নি, কাটমানি আরও খেতে এই ব্যবস্থা, আরও সুবিধা হবে তৃণমূলের, কোনও লাভ হবে না মানুষের।' হোয়াটস্যাপ নম্বর চালু করার ফলে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের উচু স্থরের নেতৃত্বের দাদাগিরি বন্ধ হবে বলেই আশা করছেন দলের নিচু স্থরের কর্মীরা।