মনোজ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, কাঁকসা: ট্যাব কেলেঙ্কারির (Tab Controversy) অভিযোগ উঠল পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসাতেও। কাঁকসা গার্লস হাইস্কুলের ৩০৭ জন ছাত্রীর মধ্যে ৮ জনের অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার টাকা জমা পড়েনি বলে অভিযোগ। স্কুল শিক্ষা দফতর ও সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা। পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট নম্বর সঠিক হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে অন্যের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে? প্রধান শিক্ষিকার প্রশ্ন।
কী অভিযোগ?
'তরুণের স্বপ্ন' প্রকল্পে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাব কেনার জন্য টাকা দিচ্ছে বাংলার সরকার। কিন্তু কখনও, অ্যাকাউন্টে টাকাই ঢুকছে না, তো কখনও টাকা চলে যাচ্ছে অন্যের অ্যাকাউন্টে। ট্যাবের টাকা নিয়ে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে এরকম সব অভিযোগ। কাঁকসা গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ, তাদের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে পড়া মাত্রই, সেই টাকা তুলেও নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রধান শিক্ষিকা সুমনা পাল বলেন, "বাংলার শিক্ষা পোর্টাল হ্যাক হয়েছে। পানাগড়ের IFSC কোড, কিন্তু অ্যাকাউন্টটা পানাগড়ে এগজিস্ট করছে না। সেটা হয়তো অন্য কোনও জায়গায় হচ্ছে, সেটা হয়তো টালিগঞ্জের অ্যাকাউন্ট। বা অন্য বাইরের কোথাকার অ্যাকাউন্ট। ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক পানাগড় IFSC, অথচ সেটা এখানকার অ্যাকাউন্ট নয়। ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম, বলছে টাকা তোলা হয়ে গেছে। সাইবার সেল তদন্ত করছে। ডিআই-কে জানানো হয়েছে। তারা প্রাথমিকভাবে প্রধান শিক্ষকের উপর আঙুল তুলছে। আপনারা দায়ী, ফাইনালাইজ করেছেন, গাফিলতি করেছেন। আমরা প্রধান শিক্ষিকা, সফটওয়ার বিশেষজ্ঞ নই। আমরা এই ধরনের কাজের জন্য ট্রেনড নই, ট্রেনিং দেওয়া হয়নি। তাও আমরা ১৫টি প্রকল্পের সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু এই ধরনের হ্যাকিং সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নই।''
ট্যাব কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় টাকা না পাওয়া ৮৪ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে জমা পড়ল টাকা। রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য এককালীন ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ২৭টি স্কুলের ৮৫ জন ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার টাকা জমা পড়েনি। উল্টে অন্য় অ্যাকাউন্টে ওই টাকা জমা পড়ে। এই নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই গতকাল পূর্ব বর্ধমান জেলার ৮৪ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্ট ট্যাব কেনার টাকা ঢোকে। এর মধ্যে বর্ধমান CMS স্কুলের ২৮ জন পড়ুয়া রয়েছে। ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে জমা পড়া নিয়ে সাইবার অপরাধ দমন শাখায় অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।